খেলাধুলা

আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত জাপান

ভালো খেলার স্লোগানটা স্লোগানেই থেকে যাচ্ছে বাংলাদেশের। প্রতিটি ম্যাচের আগে ভালো হকি খেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েও মাঠে তার ছিঁটেফোটাও দেখাতে পারছে না লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। পাকিস্তান-ভারতের পর জাপানের কাছেও হেরেছে বাংলাদেশ। কোনো ম্যাচেই দর্শককে খুশি করতে পারেননি জিমিরা। তিন ম্যাচের তিনটিতেই হার, ১৭ গোল হজম করে দিতে পেরেছে একটি। ঘরের মাঠের এশিয়া কাপ হতাশায়ই ছেয়ে থাকছে।

Advertisement

ধারে ও ভারে সব দিকেই এগিয়ে জাপান। তারপরও ঘরের মাঠ বলে এ দলটির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ভালো খেলবে এমন প্রত্যাশা ছিল সবার। কিন্তু স্টিকের কারুকাজে মাহবুর হারুনের শিষ্যরা দর্শকদের আশবাদী করে তুলতে পারছে না। জাপান ৩, বাংলাদেশ ১-এ স্কোরটা অবশ্য ম্যাচের সঙ্গে যায় না। জাপানিরা এরা বড় ব্যবধানেও জিততে পারতো। গোটাদশেক পেনাল্টি কর্নার ও একটি পেনাল্টি স্ট্রোক পেয়েও সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি জাপান।

প্রথম কোয়ার্টারের প্রায় পুরো সময় খেলা হয়েছে বাংলাদেশের অর্ধে। তবে বাংলাদেশের গোলমুখ খুলতে পারেনি তারা। বারবার ওদের পেনাল্টি কর্নার রুখে দিয়েছে বাংলাদেশ। কখনো বল ফিরেছে পোস্টে লেগে। এমন কী পেনাল্টি স্ট্রোকের মতো সহজ সুযোগও কাজে লাগাতে পারেনি জাপানি খেলোয়াড়া। যে কারেন স্কোরটা বড় করতে পারেনি তারা।

তবে গোল করে ম্যাচে ফেরার পর বাংলাদেশের খেলায় ধার বেড়েছিল। কোনঠাসা অবস্থা থেকে বেরিয়ে জাপানের সীমানায় বল নিয়ে ঢুকেছে বেশ কয়েকবার। কিন্তু এগিয়ে যাওয়া আর সম্ভব হয়নি। কিন্তু শেষ দুই মিনিটে দুই গোল খেয়ে ম্যাচটি হেরেই যায় বাংলাদেশ।

Advertisement

বিশেষ করে জাপানের এগিয়ে যাওয়া গোলটি ছিল দর্শণীয়। ৫৯ মিনিটে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ নাচিয়ে একক প্রচেষ্টায় গোল করেন তানাকা কেনতা। ২-১ এর হারটা বাংলাদেশের বড় হয় ১১ সেকেন্ড থাকতে। নিজের দ্বিতীয় গোল করেন তানাকা কেনতা।

আরআই/আইএইচএস/জেআইএম