বাংলাদেশ ক্রিকেটের রেকোর্ডের বরপুত্র কে? কাউকে এমন প্রশ্ন করা হলে চোখ বন্ধ করে উত্তর দেবে- কেন, সাকিব আল হাসান! যত দিন যাচ্ছে তত রেকর্ড বইকে সমৃদ্ধ করে তুলছেন তিনি। কিম্বার্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে নামার আগে পাঁচ হাজার রান থেকে মাত্র ১৭ রান দুরে ছিলেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
Advertisement
ইনিংসের ২০তম ওভারে দুয়ান প্রিটোরিয়াসের চতুর্থ বলটিকে থার্ডম্যানে ঠেলে দিয়েই নিলেন একটি রান। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি সাকিব পৌঁছে গেলেন ব্যক্তিগত ১৭ রানে। একই সঙ্গে পৌঁছে গেলেন পাঁচ হাজারি ক্লাবে।
এই এক রানের সঙ্গে সঙ্গেই রেকর্ড বইয়ে কিংবদন্তি দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার জ্যাক ক্যালিস এবং পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদিদের ছাড়িয়ে পৌছে গেলেন অনন্য একটি উচ্চতায়।
ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে পাঁচ হাজার এবং ২০০’র বেশি উইকেট উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় নাম লিখেছেন তিনি। সাকিবের আগে অন্য চার ক্রিকেটার হলেন শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়সুরিয়া, পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি, আব্দুল রাজ্জাক এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস।
Advertisement
এই তালিকায় সাকিবের আগে শীর্ষে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস। ২২১ ম্যাচ খেলে এই মাইলফলকে পৌঁছেছিলেন তিনি। সে তুলনায় সাকিব খেললেন ৪৩ ম্যাচ কম। অথ্যাৎ, সবচেয়ে দ্রুতগতির ক্রিকেটার হিসেবে ৫০০০ রান এবং ২০০ প্লাস উইকেটের উচ্চতায় পৌঁছালেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
জয়সুরিয়া ৫ হাজার রান এবং ২০০ প্লাস উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছাতে খেলেছেন ২৩৫ ম্যাচ, শহিদ আফ্রিদি খেলেছেন ২৩৯ ম্যাচ এবং আবদুল রাজ্জাক খেলেছেন ২৫৮ ম্যাচ।
ওয়ানডেতে ৫০০০ রান ও ২০০+ উইকেট
নাম
Advertisement
ম্যাচ
রান
উইকেট
সাকিব আল হাসান
১৭৮
৫০০২*
২২৪
জ্যাক ক্যালিস
২২১
৭৭০৩
২০০
সনাৎ জয়াসুরিয়া
২৩৫
৬৬০১
২০০
শহীদ আফ্রিদি
২৩৯
৫০৭১
২০১
আব্দুর রাজ্জাক
২৫৮
৫০৪০
২৬৩
এমএএন/আইএইচএস/জেআইএম