স্বাস্থ্য

চাকরির সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের দাবি মেডিকেল প্রতিনিধিদের

চাকরির জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের জোর দাবি জানিয়েছে ফার্মাসিউটিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাসোসিয়েশন (ফারিয়া)। আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে নীতিমালা প্রণয়ন না করা হলে কর্মবিরতিসহ বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।

Advertisement

সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে আজ (রোববার) দুপুরে রাজধানীসহ সারাদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে ফারিয়া কেন্দ্রীয় নেতারা এ ঘোষণা দেন।

রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালে নেতারা বলেন, ওষুধশিল্প দেশের স্বয়ংসম্পূর্ণ শিল্পপ্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এ শিল্পের বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিতে দুই লাখ ৩০ হাজার মেডিকেল প্রতিনিধি কাজ করলেও তাদের চাকরির নির্ধারিত কোনো নীতিমালা নেই। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল হিসেবে কোম্পানিগুলো হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করলেও মেডিকেল প্রতিনিধিদের চাকরির জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই।

ফলে তারা ন্যায্য বেতন পান না, নির্ধারিত কর্মঘণ্টা নেই, নেই সরকারি ছুটি নেই ও কথায় কথায় চাকরিচ্যুত করা হয়।

Advertisement

ফারিয়ার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শফিক রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর আলমের সভাপতিত্বে শাহবাগে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি আর, আই বাবু, সহ-সভাপতি দুর্জয় ফরাজি, সাংগঠনিক সম্পাদক পবিত্র মজুমদার ও উপদেষ্টা মোবারক হোসেন টিপু প্রমুখ।

সিনিয়র সহ-সভাপতি আর আই বাবু বলেন, গার্মেন্টসকর্মীদের জন্য সরকারিভাবে ন্যূনতম বেতন নির্ধারিত থাকলেও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ সেক্টরের কর্মরতদের জন্য কোনো বেতনভাতা নির্ধারিত হয়নি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করেও ন্যায্য বেতন মেলে না, উপরন্তুু কথায় কথায় চাকরিচ্যুতির ভয় থাকে।

নেতারা নীতিমালায় ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ, কথায় কথায় চাকরিচ্যুত না করা, বাজারদরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে টিএ/ডিএ নির্ধারণ, খালি চেকে সই ও মূল সার্টিফিকেট না রাখা, উৎসব ও মুনাফা বোনাস সর্বত্র চালু, সাপ্তাহিকসহ সকল সরকারি ছুটি কার্যকর, সকল কোম্পানিতে প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইয়টি চালু, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও ভাতা, প্রত্যেক প্রতিনিধির জন্য ইনসুরেন্স ব্যবস্থা ইত্যাদিও সংযুক্ত করার জোর দাবি জানান।

এমইউ/বিএ/আরআইপি

Advertisement