লাইফস্টাইল

হবু মায়ের বিশেষ যত্ন

অন্যান্য সময়ের চেয়ে গর্ভাবস্থার সময়ের সঙ্গে রয়েছে বিশেষ পার্থক্য। কারণ নারীর গর্ভধারণের মাধ্যমে আরেকটি জীবন পৃথিবীতে আসে। জন্ম হয় আরেকটি জীবনের। তাই এই সময় অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি যত্নশীল হওয়ার প্রয়োজন। কিছু বিষয়ে থাকতে হবে বিশেষ সতর্ক। চলুন জেনে নেই সেরকমই কিছু বিষয়।

Advertisement

গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ডাক্তারের চেকআপে থাকা জরুরি। এ সময় অনেক গর্ভবতী মেয়েরা অসুস্থ অনুভব করতে পারেন বা বিভিন্ন ধরনের জটিলতার মুখোমুখি হতে পারেন। কিন্তু অনেক গর্ভবতী মেয়েরাই এই বিষয়গুলোকে অবহেলা করেন, ভাবেন কিছুক্ষণ পর বা কয়েকদিন পর এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে। এতে প্রসূতি মা এবং শিশু উভয়েই মারাত্মক বিপদের সম্মুখীন হতে পারে এমনকি গর্ভের শিশুর বিভিন্ন ধরনের জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে গর্ভের শিশুর।

আরও পড়ুন: ঘাড়ের ব্যথার লক্ষণ ও করণীয়

শরীরে পানির অভাব পূরণ করার জন্য সারাদিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা গর্ভবতী মায়ের জন্য উপকারী। গর্ভবতী নারীরা যদি হালকা ব্যায়াম করে তবে তা তাদের শরীরের জন্য উপকারী। তবে অবশ্যই কি ধরনের ব্যায়াম করতে হবে তা আগে ডাক্তারের কাছে থেকে জেনে নিতে হবে ।

Advertisement

এই সময় আরামদায়ক, হালকা এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করা প্রয়োজন তাহলে তা শরীরে বাতাস চলাচলে সহায়তা করবে । আর এই সময় সুতি কাপড় পরিধান করলে তা উপকারী হবে। কারণ সুতি কাপড় তাপ শোষণ করে না। কৃত্রিম কাপড় যেমন পলিস্টার এবং সিনথেটিক কাপড় তাপ শোষণ করে বলে তা পরিহার করাই ভালো।

একবারে বেশি করে না খেয়ে অল্প অল্প করে একটু পর পর খেলে তা গর্ভবতী মায়ের জন্য বেশি উপকারী। এতে মায়ের বিপাক প্রক্রিয়ার উপর বেশি চাপ না পড়ায় তার অভ্যন্তরীণ পরিপাক ক্রিয়া সহজেই কাজ করতে পারে। কিন্তু যদি একবারে বেশি পরিমাণে খাওয়া হয় তবে তার বিপাক ক্রিয়াকে অনেক চাপ প্রয়োগ করে কাজ করতে হয় এবং এতে শরীরে অধিক পরিমাণে তাপ উৎপাদিত হয়। তাই স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য এক সাথে অধিক পরিমাণে খাওয়া থেকে বিরত থাকলে তা উপকারী হবে।

আরও পড়ুন: রান্নার যে উপায়গুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর

এই সময় ক্যালসিয়াম, আয়রন, প্রোটিন এবং আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা খুবই দরকার। সুতরাং এই সময় ক্যালসিয়াম, আয়রন, প্রোটিন, আয়োডিন আছে এমন খাবার খাওয়া উপকারী। আর এগুলো পাওয়া যেতে পারে ফলমূল, শাকসবজি, ডাল, ডিম, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি থেকে।

Advertisement

সাধারণত ক্যাফেইন জাতীয় খাবার রক্তচাপ বৃদ্ধি করে এবং শরীরের মূল তাপমাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে ক্যাফেইন এর জন্য বিরক্তিভাব বাড়তে পারে, উদ্বিগ্নতা জন্মাতে পারে, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন হতে পারে, অথবা ঘুমের সমস্যা হতে পারে। তাই গর্ভকালীন সময়ে ক্যাফেইন জাতীয় খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকলে তা গর্ভবতী মায়ের জন্য উপকারী।

এইচএন/জেআইএম