জাতীয়

বিচারপতি সিনহার বক্তব্যের জবাব দেবেন আইনমন্ত্রী

বিদেশ যাওয়ার আগে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা যে বক্তব্য দিয়ে গেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক তার জবাব দেবেন।

Advertisement

শুক্রবার রাতে এসকে সিনহা অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করা লিখিত বক্তব্যে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘গতকাল প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনরত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রবীণতম বিচারপতির উদ্ধৃতি দিয়ে মাননীয় আইনমন্ত্রী প্রকাশ করেছেন যে, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি অচিরেই সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনে পরিবর্তন আনবেন। প্রধান বিচারপতির প্রশাসনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কিংবা সরকারের হস্তক্ষেপ করার কোনো রেওয়াজ নেই। তিনি শুধুমাত্র রুটিন মাফিক দৈনন্দিন কাজ করবেন। এটাই হয়ে আসছে।’

‘প্রধান বিচারপতির প্রশাসনে হস্তক্ষেপ করলে এটি সহজেই অনুমেয় যে, সরকার উচ্চ আদালতে হস্তক্ষেপ করছে এবং এর দ্বারা বিচার বিভাগ ও সরকারের মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি হবে। এটি রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না।’ বিবৃতিতে বলেন সিনহা।

শনিবার সকালে এসকে সিনহার এই বক্তব্যের বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণটার ওপরই কমেন্ট করব। আমি কাগজটা (বিবৃতি) আনতে দিয়েছি। ওটা পেলে আমি একবারেই সব বলব। তবে কখন বলব সেটা এখনই বলতে পারছি না।’

Advertisement

এস কে সিনহা ওই বিবৃতিতে আরও বলেছেন, ‘আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি, কিন্তু ইদানিং একটা রায় নিয়ে রাজনৈতিক মহল, আইনজীবী ও বিশেষভাবে সরকারের মাননীয় কয়েকজন মন্ত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে ব্যক্তিগতভাবে যেভাবে সমালোচনা করেছেন, এতে আমি সত্যিই বিব্রত। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সরকারের একটি মহল আমার রায়কে ভুল ব্যাখ্যা প্রদান করে পরিবেশন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার প্রতি অভিমান করেছেন, যা অচিরেই দূরীভূত হবে বলে আমার বিশ্বাস।’

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর পূর্ণাঙ্গ রায় নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতার কথা বলে গত ৩ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত এক মাসের ছুটি নেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।

সংসদের বাইরে থাকা বিএনপি দাবি করছে, প্রধান বিচারপতিকে জোরপূর্বক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

এস কে সিনহা ছুটি নেয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পেয়েছেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিঞা

Advertisement

পরে ১৩ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বিদেশে অবস্থান করতে চান, বিষয়টি উল্লেখ করে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ১০ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির কাছে একটি চিঠি পাঠান প্রধান বিচারপতি।

এরপর ১২ অক্টোবর আইন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী ২ নভেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিদেশে অবস্থানকালীন সময়ে বা তার কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করবেন বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহহাব মিঞা।

আরএমএম/এনএফ/এমএস