বিশ্ব বাবা দিবস নিয়ে অনেক আলোচনা হয়, সমালোচনাও। কেউ বলেন সারা বছরে বাবার খোঁজ না রেখে একটা দিন বাবা নিয়ে মাতামাতি করার কোনো মানে নেই। কেউ আবার বলে থাকেন, সারা বছর যেভাবেই কাটুক না কেন, যতোই দূরে থাকা হোক না কেন বাবার থেকে-এই একটা দিনে হোক বাবার ভালোবাসায় বসবাস।বাবা সন্তানের কাছে বটবৃক্ষের মতো। বাবার শাসন আমাদের জীবনকে বাস্তবতার মুখোমুখী হতে শিক্ষা দেয়। আর সবার মতো তারকাদেরও বাবা নিয়ে অাবেগ আছে আকাশ ছোঁয়া। আজ শুনব প্রিয় তারকাদের মুখে তাদের বাবাকে নিয়ে সেই আবেগের কিছু গল্প-মৌসুমীআমার বাবা মো. নাজমুজ্জামান মনি শুধু আমাকে জন্ম দিয়েই তার দায়িত্ব শেষ করেননি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমাকে ছায়া দিয়ে আগলে রেখেছিলেন। আমার কাজ ছিল শুধু ক্যামেরার সামনে অভিনয় করা। আর বাকি সবকিছুই বাবা দেখতেন। আজ বাবা আমাদের কাছ থেকে অনেক দূরে। প্রতি মুহূর্তেই বাবাকে মিস করি। কিন্তু বাবা যে শিক্ষা আমাকে দিয়েছেন তা আজও আমাকে পথ দেখায়। বাবার দেখানো পথেই আমি এখনও হাঁটছি। মনে হয় বাবা আমাকে হাত ধরে রয়েছেন। আমি নিশ্চিন্তে হাঁটছি। বাবাকে নিয়ে আমার স্মৃতির কোন শেষ নেই। আমরা তিন বোন।আমি, স্নিগ্ধা আর ইরিন। বাবা তিন বোনকেই সমান দৃষ্টিতে দেখতেন। আমরাও তিন বোনের কেউই বাবার আদর থেকে বঞ্চিত হইনি। তবে সিনেমায় আসার কারণে আমার প্রতি বাবার দায়িত্বটা ছিল অনেক বেশি। মূলত বাবার পরিকল্পিত নির্দেশনার কারণেই আমি আজ মৌসুমী হতে পেরেছি।নির্মাতাদের চেষ্টা আর দর্শকদের ভালবাসায় আমি আজকের মৌসুমী। সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু বাবা আমার জন্য যা যা করেছেন সেটা আমি কখনোই ভুলতে পারবো না। বাবার ঋণ এক জীবনে তো নয়ই, কয়েক জীবনেও শোধ করতে পারবো না। বাবার ঋণ শোধ করা যায় না। মৌটুসীবাবা চট্টগ্রামে থাকেন। এখন তার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভাল না। বুঝ হওয়ার পর থেকে দেখেছি বাবা কতটা কষ্ট করে আমাদের বড় করেছেন। নিজের পেশাগত কাজে আমাকে ঢাকায় থাকতে হচ্ছে।নিয়মিত বাবার খোঁজ নিচ্ছি। আসলে বাবার ভালবাসা যে কি সেটা বলে বোঝাতে পারব না। আমার বাবার জন্য সবাই দোয়া করবেন।সম্রাটদেশীয় চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি নায়করাজ রাজ্জাক আমার বাবা-এই প্রাপ্তি আমাকে গর্বিত করে। পর্দার অনেক বড় নায়ক তিনি, দুর্দান্ত অভিনেতা। দীর্ঘ ৪৮ বছর দর্শকদের মোহিত করে রেখেছেন নিজের অভিনয় ক্ষমতা দিয়ে। আজ তিনি নায়করাজ। তবে আমার কাছে পর্দার হিরোর চেয়ে রিয়েল লাইভের হিরো রাজ্জাক হচ্ছেন বেশি প্রিয়। কারণ, আমি তো সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছি। নায়করাজের ছোট ছেলে আমি।কিন্তু আমার বাবা জীবনে যে সংগ্রাম করেছেন, কষ্ট করেছেন, পরিশ্রম করেছেন, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি আমাদের পুরো পরিবারকে যত্নের সঙ্গে ভালবাসার সঙ্গে একই সুতায় বেঁধে রেখেছেন, তা আমাদের কাছে বড় একটা শিক্ষণীয় বিষয়। আমার বাবার মতো কেয়ারিং বাবা আমি খুব একটা দেখিনি। শত ব্যস্ততার মাঝেও বাবা আমাদের প্রচুর সময় দিয়েছেন। কাজের অজুহাতে, ব্যস্ততা দেখিয়ে পরিবারকে বঞ্চিত করেননি।দিঘীবাবাই আমার সব। তাকে দেখে দিনের শুরু, তাকে দেখেই বিছানায় যাই। রোজ রোজ আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলেন। এরপর ব্রাশ করা থেকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া, স্কুল থেকে নিয়ে আসা সব কিছুতেই বাবা আমার পাশে থাকেন। আমার তো মা নেই। মা মারা যাওয়ার পর বাবায় আমার কাছে বাবা ও মা। বাবা আমাকে অনেক ভালোবাসেন। বাবা আমার সকল ইচ্ছে পূরণের দৈত্য।
Advertisement
এলএ