দেশজুড়ে

নারায়ণগঞ্জ ও কুষ্টিয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২

নারায়ণগঞ্জ ও কুষ্টিয়ায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোরে পৃথক এ বন্দৃকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহতরা দুজনেই তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জে ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মনিরুজ্জামান শাহীন ওরফে বন্দুক শাহীন (৫০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোরে শহরের গলাচিপা গোয়ালিয়া খাল এলাকায় শাহীনের বাড়ির সামনে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহত ‘বন্দুক শাহীন’ পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ৪ রাউন্ড গুলিভর্তি একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে শহরের গলাচিপা এলাকায় মনিরুজ্জামান শাহীনকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশের একটি দল। এসময় শাহীনের সহযোগীরা ডিবি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে দু’পক্ষের বন্দুকযুদ্ধে বন্দুক শাহীন নিহত হয়।

Advertisement

এই ঘটনায় ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান ও এসআই মিজান আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। এদিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রবাসী যুবক রাকিবুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত অাসামি সন্ত্রাসী শাহীন (৩০) নিহত হয়েছেন। তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নুরপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে।

শুক্রবার ভোর ৩টার দিকে উপজেলার কুমারখালী শিলাইদহ কসবা ঘাটে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও হাসুয়া উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ছাব্বিরুল ইসলাম জানান, শাহীনের তথ্যনুযায়ী তাকে নিয়ে মামলার অন্য অাসামিদের ধরতে কুমারখালী শিলাইদহ ঘাটে অভিযানে যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে একদল সন্ত্রাসী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা জবাব দিলে উভয়ের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ বন্দুকযুদ্ধ চলে।

এক পর্যায়ে সংঘর্ষ থেমে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় সন্ত্রাসী শাহীনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

সন্ত্রাসী শাহীন কুষ্টিয়ার কুমারখালীর প্রবাসী রাকিবুল হত্যা মামলার অাসামি। সে রাকিবুলকে হত্যার জন্য তার স্ত্রী ও ভায়ের কাছ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিল। এফএ/এমএস

Advertisement