গত সপ্তাহে এক টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘একটা জিনিসেই কাজ হবে উত্তর কোরিয়ার। তবে সেই একটা জিনিস কি তা পরিস্কার করেননি তিনি। তবে তিনি যে উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে কঠিন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন সেটা মোটামুটি ধারণা করা যায়।
Advertisement
হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তর কোরিয়া নিয়ে আলোচনা করতে প্রতিরক্ষাসচিব জেমস ম্যাটিসসহ কয়েকজন শীর্ষ স্থানীয় সামরিক উপদেষ্টার সঙ্গে বুধবার বৈঠক করেছেন ট্রাম্প।
উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার বন্ধু দেশগুলিকে হুমকি দেওয়া থেকে আটকাতে এই মূহূর্তে ঠিক কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সে বিষয়ে কথা বলেছেন তারা। ম্যাটিস ছাড়াও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড।
গত ফেব্রুয়ারি থেকে মোট ১৫টি পরীক্ষায় ২২ বার পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে কিম জং উনের দেশ। পিয়ংইয়ং থেকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে পরমাণু হামলার হুমকিও দিয়েছেন কিম। শাস্তি হিসেবে উত্তর কোরিয়ার উপর প্রতিবারই কোনও না কোনও কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু উত্তর কোরিয়া তাদের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করেনি।
Advertisement
সম্প্রতি জাপান উপকূলের উপর দিয়ে দু’টি অান্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষা করেছে তারা। পরমাণু পরীক্ষা না থামালে উত্তর কোরিয়াকে ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ট্রাম্পকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে পাল্টা আক্রমণ করেন কিম।
যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধ প্রস্তুতি সংক্রান্ত কিছু অতি সংবেদনশীল গোপন নথি উত্তর কোরিয়া হ্যাক করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য রি শিওল হি জানিয়েছিলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যভাণ্ডার থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরি হয়েছে। নথিগুলি গত বছরের সেপ্টেম্বরের। তবে ২৩৫ জিবির নথিগুলো শত্রুপক্ষের হাতে চলে যাওয়া বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জেরে বাড়তে থাকা উত্তেজনায় নতুন পারদ যোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে সামরিক শক্তি প্রদর্শনের অংশ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনীর দুটি বি-১বি ল্যান্সার বোমারু বিমান কোরীয় দ্বীপে চক্কর দিয়েছে। সামরিক এই অনুশীলনে জাপানের যুদ্ধবিমানও যোগ দিয়েছে।
টিটিএন/আরআইপি
Advertisement