ছুটিতে থাকা প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার বিদেশ যাওয়ার সরকারি আদেশের (জিও) অনুমতিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
Advertisement
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে ওই পত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষর করেন।
বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় কমিটির বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অনুমতিপত্রে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর করার কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মন্ত্রী ওই সময় আরও জানান, রাষ্ট্রপতি ঢাকার বাইরে থাকায় এখনও এ আবেদনে স্বাক্ষর করেননি। ঢাকায় ফিরলে তিনি এ বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত জানাবেন। তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি ছুটি নিজেই নেন। কিন্তু তিনি যদি বিদেশ যেতে চান তাহলে সে বিষয়টি রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করতে হয়। অবহিত করার প্রক্রিয়াটা হচ্ছে, এটা আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে করতে হয়। সেজন্য এটা আইন মন্ত্রণালয়ে আসে।’
Advertisement
‘এটা আইন মন্ত্রণালয়ে আসার করণ হচ্ছে আমাদের সংবিধান অনুযায়ী প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে একজনকে অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।’
তিনি আরও বলেন, আমরা সকলেই অর্থাৎ সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ যেতে চাইলে গভমেন্ট অর্ডার (জিও) লাগে। সে অর্ডারের জন্য উনার প্রাইভেট সেক্রেটারি আবেদন পাঠিয়েছিলেন। আমি যতদূর জানি এ আবেদনে আমি স্বাক্ষর করেছি, প্রধানমন্ত্রী আজ স্বাক্ষর করেছেন। রাষ্ট্রপতি এখনও কিশোরগঞ্জে আছেন, আজ বিকেলে আসবেন, তারপর দেখা যাবে।
এক মাসের ছুটিতে থাকা প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা ১৩ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বিদেশে অবস্থান করতে চান। বিষয়টি উল্লেখ করে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গতকাল রাষ্ট্রপতির কাছে একটি চিঠি পাঠান তিনি।
আইন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী প্রধান বিচারপতিকে বিদেশ যেতে হলে সরকারি আদেশ (জিও) জারি করতে হবে।প্রধান বিচারপতির চিঠিতে বলা হয়েছে, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ, মানসিকভাবেও অবসাদগ্রস্ত। এ কারণে বিশ্রামের জন্য ১৩ অক্টোবর বা তার কাছাকাছি সময়ে বিদেশ যেতে চান তিনি।
Advertisement
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর পূর্ণাঙ্গ রায় নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতার কথা বলে গত ৩ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত এক মাসের ছুটি নেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।
সংসদের বাইরে থাকা বিএনপি দাবি করছে, প্রধান বিচারপতিকে জোরপূর্বক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
এস কে সিনহা ছুটি নেয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পেয়েছেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিঞা।
ইতোমধ্যে বিচারপতি সিনহা ও তার স্ত্রী সুষমা সিনহা তিন বছরের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পেয়েছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেছে। তারা শিগগিরই অস্ট্রেলিয়া যাবেন। সেখানে তাদের বড় মেয়ে সূচনা সিনহা বসবাস করেন।
আরএমএম/এমএআর/এমএস