ইন্টারনেটের অন্ধকার জগতের এক মরণঘাতী গেমস 'ব্লু হোয়েল'। ৫০ পর্বের এ গেমটি শেষ আত্মহত্যার মধ্যে দিয়ে। আর এ পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের এক ছাত্র। কিন্তু ওই ছাত্রের হলের এক বড় ভাই ও পুলিশের ত্বরিত ভূমিকায় এ মরণঘাতী গেম থেকে ফিরে আসে সে।
Advertisement
ঘটনার শুরু গত ৫ অক্টোবর রাত ২টায়। ইতিহাস বিভাগের রাজনের (ছদ্মনাম) ফেসবুক মেসেঞ্জারে আসে একটি লিংক। কৌতূহলের বশে লিংকটিতে ক্লিক করে সে। ক্লিকের সঙ্গে সঙ্গেই তার মোবাইলে ব্লু হোয়েল গেমটি ডাউনলোড হয়ে যায়। উত্তেজনার বশে নানা আলোচিত সমালোচিত গেমটির প্রথম চারটি ধাপ খেলে রাজন।
যার ১ম ধাপে তাকে সারারাত ক্যাম্পাসে হাঁটতে বলা হয়। ২য় ধাপে বলা হয় হলের ছাদের রেলিংয়ে হাঁটা। ৩য় ধাপে ব্লেড দিয়ে হাত কেটে নীল তিমি আঁকতে বলা হয়। পরের ৪র্থ ধাপে সারাদিন চুপচাপ বসে থাকতে বলার নির্দেশ দেয় গেমটির এডমিন। পুরো বিষয়টি আঁচ করতে পেরে রাজনের হলের এক বড় ভাই ফেসবুকে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মো. মশিউদ্দৌলা রেজাকে জানান।
পরবর্তীতে তার নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) আবদুল্লাহ আল মাসুম তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিয়ে ওই ছাত্রকে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পুলিশের হেফাজতে নিয়ে আসে। এরপর চলে কাউন্সিলিং। ক্রমাগত কাউন্সিলিংয়ে ভিকটিম নিজের ভুল বুঝতে পারে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা।
Advertisement
এ সময় ভিকটিম জানায়, সে শুধুমাত্র কৌতূহলবশত লিংকটি ক্লিক করেছিল। তার অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।
এদিকে এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা বলেন, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ থেকে এ গেমের ব্যাপারে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হবে।
পাশাপাশি যারা এ গেমটিতে আসক্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে দণ্ডবিধির ৩০৯ ধারায় আত্মহত্যার চেষ্টার অপরাধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ওই ছাত্রকে কাউন্সিলিং করা হচ্ছে। এটি চলমান থাকবে।
Advertisement
আবদুল্লাহ রাকীব/এমএএস/এমএস