মিয়ানমারের শীর্ষ বৌদ্ধ সন্যাসী, সেনাবাহিনী প্রধান এবং শান্তিতে নোবেল জয়ী নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠক করতে দেশটিতে সফর করবেন রোমান ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চলমান সহিংসতায় পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর পোপ ফ্রান্সিস সেদেশ সফরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন।
Advertisement
মঙ্গলবার ভ্যাটিকানের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৬ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ সফর করবেন। সফরে বৌদ্ধ অধ্যুষিত মিয়ানমারে সরকারি দুটি গণ-সমাবেশে এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে একটি সমাবেশে অংশ নেবেন পোপ।
ফ্রান্সিসই প্রথম পোপ, যিনি প্রথমবারের মতো মিয়ানমার সফরে আসছেন এবং বাংলাদেশে কোনো পোপ হিসাবে দ্বিতীয় সফর করবেন। এর আগে ১৯৮৬ সালে পোপ জন পল বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন।
২৬ নভেম্বর রাজধানী নেইপিদো শহরে পৌঁছানোর পর ২৪ ঘণ্টার বিশ্রাম শেষে ২৭ নভেম্বর ইয়াঙ্গুন শহরে যাবেন পোপ ফ্রান্সিস। পরে সেখানে দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবেন তিনি। ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের উদ্দেশে মিয়ানমার ত্যাগ করবেন রোমান ক্যাথলিক এই ধর্মগুরু।
Advertisement
ভ্যাটিকানের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলছে, সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে পোপ ফ্রান্সিস পৃথক বৈঠক করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া রাজনীতিবিদ এবং কূটনীতিকদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি। সেখানে তার বক্তব্যের প্রধান প্রধান অংশ তুলে ধরবেন পোপ।
২৫ আগস্টের পর থেকে রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়ে আসছে মিয়ানমার। রাখাইনে সেনাবাহিনীর তাণ্ডবকে পাঠ্যপুস্তকে উল্লিখিত গণহত্যার উদাহরণের সঙ্গে তুলনা করেছে জাতিসংঘ।
সূত্র : দ্য ইরাবতি।
কেএ/এসআইএস/আরআইপি
Advertisement