লাইফস্টাইল

ঘাড়ের ব্যথার লক্ষণ ও করণীয়

ঘাড়ের ব্যথা আমাদের পরিচিত একটি সমস্যা। আপাতদৃষ্টিকে এটিকে স্বাভাবিক বলে মনে হলেও এর রয়েছে যথেষ্ট ক্ষতিকর দিক। মেরুদণ্ডের ঘাড়ের অংশকে মেডিক্যাল ভাষায় সারভাইক্যাল স্পাইন বলে। আট জোড়া সারভাইক্যাল স্পাইন নার্ভ (স্নায়ু) ঘাড়, কাঁধ, বাহু, নিচু বাহু এবং হাত ও আঙুলের চামড়ার অনুভূতি ও পেশির মুভমেন্ট প্রদান করে। এ জন্য ঘাড়ের সমস্যায় রোগী ঘাড়, কাঁধ, বাহু ও হাত বা শুধু হাতের বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। ঘাড়ের সমস্যা পুরুষের তুলনায় নারীদের বেশি হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: খুব সহজেই দূর করুন মাথাব্যথা

লক্ষণ *ঘাড়ব্যথা এবং এই ব্যথা কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুল পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।*কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুলে অস্বাভাবিক অনুভূতি বা অবশ ভাব হতে পারে।*বাহু, হাত ও আঙুল দুর্বল হতে পারে।*সব সময় ঘাড় ধরে বা জমে (স্টিফনেস) আছে এবং আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে।*ঘাড়ের মুভমেন্ট ও দাঁড়ানো অবস্থায় কাজ করলে ব্যথা বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন: মনটা থাকুক ভালো

Advertisement

করণীয়:*সামনের দিকে ঝুঁকে দীর্ঘক্ষণ কাজ করবেন না।*মাথার ওপর কোনো ওজন নেবেন না।*প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিতে হবে।*শক্ত বিছানায় ঘুমাবেন।*শোবার সময় একটা মধ্যম সাইজের বালিশ ব্যবহার করবেন, যার অর্ধেকটুকু মাথা ও অর্ধেকটুকু ঘাড়ের নিচে দেবেন।*তীব্র ব্যথা কমে গেলেও ঘাড় নিচু বা উঁচু করা, মোচড়ানো (টুইসটিং) পজিশন বন্ধ করা।*অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম কমাতে হবে।*সেলুনে কখনোই ঘাড় মটকাবেন না।*কাত হয়ে শুয়ে দীর্ঘক্ষণ পড়বেন না বা টেলিভিশন দেখবেন না।*কম্পিউটারে কাজ করার সময় মনিটর চোখের লেভেলে রাখবেন।

এইচএন/পিআর