তাদের দু’জনের বন্ধুত্বের কথা কারো অজানা নয়। বার্সেলোনায় দু’জনের রসায়নটাও বেশ জমে উঠেছিল। দু’জনের হাত ধরে অনেক সাফল্য পেয়েছে বার্সা। জাতীয় দল হিসেবে চির প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও লিওনেল মেসি এবং নেইমার ডি সিলভা জুনিয়র একে অপরের খুব ভক্ত। এমনকি বার্সা ছেড়ে পিএসজি চলে যাওয়ার পরও নেইমার বার্সেলোনা শহরে গিয়ে মেসিদের সঙ্গে পার্টিও করে এসেছেন।
Advertisement
অথচ, বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসিই এখন পুরোপুরি শঙ্কায় পড়ে গিয়েছেন, আগামী বিশ্বকাপ খেলতে যেতে পারবেন কি না, তা নিয়ে। লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে মেসির আর্জেন্টিনা এখন রয়েছে ছয় নম্বরে। শেষ ম্যাচে ইকুয়েডরকে হারাতে পারলেই কেবল আগামী বিশ্বকাপের টিকিট মিলতে পারে মেসির হাতে।
কিন্তু সেটাও যে খুব সহজ কাজ হবে তা নয়। কারণ, মেসিরা খেলতে গিয়েছে ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটোতে। সমূদ্রপৃষ্ঠ হতে ৯ হাজার ফুটেরও উঁচুতে খেলতে হবে তাদের। উচ্চতা সমস্যা না আবার মেসিদের বিপদে ফেলে দেয়, সেটা নিয়েই দুশ্চিন্তায় রয়েছে সবাই।
অন্যদিকে দু’বারের কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন চিলিও রয়েছে খাদের কিনারায়। এখনও তাদের বিশ্বকাপ নিশ্চিত নয়। যদিও পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে রয়েছে আলেক্সিজ সানচেচের দল। তবে, শেষ ম্যাচে তারা যদি কোনমতে ব্রাজিলকে হারিয়ে দিতে পারে কিংবা ড্র করে, তাহলে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি বিপদে ফেলে দেবে আর্জেন্টিনাকেও।
Advertisement
এমন পরিস্থিতিতে ব্রাজিল যদি চিলিকে হারিয়ে দেয়, তাহলে বিষয়টা আর্জেন্টিনার জন্য কিছুটা সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। সরাসরি বিশ্বকাপে খেলতে না পারলেও প্লে-অফ খেলার সুযোগ পেতে পারে মেসির দল। সেটা মাথায় রেখেই ব্রাজিল তারকা প্রতিশ্রুতি দিলেন, ‘লিওনেল মেসি এবং তার দল আর্জেন্টিনাকে নিয়েই আগামী বিশ্বকাপ খেলতে যেতে চাই।’
স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড স্প্যানিশ পত্রিকা স্পোর্টের বরাতে নেইমারের বক্তব্য দিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, ‘নেইমার বুঝতে পারছেন, চিলিকে অবশ্যই হারাতে হবে। নিজেদের সমর্থকদের সামনে ইমেজ ধরে রাখার বিষয়ই নয় শুধু, বন্ধু লিওনেল মেসিকেও এ ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে চান তিনি।’
আইএইচএস/এমএস
Advertisement