রোম-ঢাকা-রোম রুটে দীর্ঘ দিন ধরে লোকসানের অজুহাতে সরকার বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রবাসীরা। বিমান বন্ধের ফলে ইতালিতে বসবাসরত দুই লাখষ প্রবাসীর সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রোম-ঢাকা-রোম রুটে পুনরায় ফ্লাইট চালু করতে ট্রাভেলস এজেন্সিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো অনেক দিন ধরে গণসাক্ষর কর্মসূচি পালন করে আসছে।এছাড়া ইতালির বিভিন্ন শহরেও গণস্বাক্ষর নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজার প্রবাসী স্বাক্ষর করেছেন। প্রবাসীদের প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে গত ১৯ জুন রোম দূতাবাসে বিমান বাংলাদেশ পুনর্বাস্তবায়ন কমিটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। দূতাবাসের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন প্রথম সচিব রফিকুল আলম।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিমান পুনর্বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বাবায়ক আব্দুর রশিদ, প্রধান সমন্বনয়কারী ও সনিক ট্রালেসের কর্ণধার মো. ফিরোজ খান, সদস্য সচিব রফিকুল আলম, প্রধান উপদেষ্টা দিদারুল আবেদীন, বাংলাদেশ সমিতির সাবেক সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী বাচ্চু প্রমুখ।স্মারকলিপি প্রধান শেষে এক পথসভায় বক্তারা বলেন, কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা, ভুল তথ্য উপস্থাপনাই বিমান বন্ধের প্রধান কারণ। তাদের সঠিক কর্তব্য পালন করতে ব্যর্থ হওয়ার মাশুল এখন দুই লাখ প্রবাসীকে দিতে হচ্ছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আকুল আবেদন জানিয়ে বিমান লোকসানের কারণ খতিয়ে দেখে প্রবাসীদের সমস্যার কথা চিন্তা করে পুনরায় বিমান চালুর দাবি জানান বক্তারা।তারা মনে করেন বিমান পরিচালনার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে করা হলে দুই লাখ প্রবাসী যেখানে বসবাস করছেন কোনোভাবেই লোকসান হতে পারে না। বিমান বন্ধের কারণে ট্রানজিট ঝামেলায় অনেক কষ্ট ভোগ করতে হয় প্রবাসীদের এবং নতুন কোনো পরিবার ইতালিতে আসার ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।মরদেহ বহনের জন্য অন্যান্য এয়ার লাইনসগুলো গড়িমশি করে। তাছাড়া কারণে-অকারণে টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি করে দেয়। এদিকে বিমান বন্ধ হওয়ায় প্রবাসীরা যেমন বিপাকে পড়েছে অন্যদিকে সরকারও বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে ব্যর্থ হচ্ছে।উল্লেখ্য, স্মারকলিপি ও তার অনুলিপি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, প্রবাস কল্যাণমন্ত্রী, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বিমান সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ বিমান চেয়ারম্যান বরাবর দিতে অনুরোধ করেন দূতাবাসের বিমান পুনর্বাস্তবায়ন কমিটি।এ ব্যাপারে প্রথম সচিব রফিকুল জানান, দূতাবাস তার দায়িত্ব সঠিকভাবেই পালন করবে।বিএ
Advertisement