বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। কারো মতে সেরা খেলোয়াড়ও। সেই মেসিকে ছাড়া যদি রাশিয়া বিশ্বকাপ মাঠে গড়ায়, তাহলে অর্ধেক আকর্ষণই কমে যাবে। কিন্তু সেই বাস্তবতার দিকেই এগিয়ে চলেছে আগামী বিশ্বকাপের ভাগ্য। আর মাত্র একটি ম্যাচ। এই ম্যাচের পরই সব নির্ধারণ হয়ে যাবে। মেসির দেশ বিশ্বকাপে খেলতে পারবে কি পারবে না। ইকুয়েডরের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল (বুধবার) ভোর ৫.৩০ মিনিটে।
Advertisement
মেসিদের শেষভাগ্য এখন পুরোপুরি ইকুয়েডর আর কিছু ইকুয়েশনের ওপর নির্ভর করছে। শেষ ম্যাচে ইকুয়েডরকে তো হারাতেই হবে। সঙ্গে উরুগুয়ে, চিলি, কলম্বিয়া এবং পেরুর ম্যাচগুলোর দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে মেসিদের। তবে, এটা ঠিক, জিতলেই অন্য ইকুয়েশনের হয়তো খুব বেশি প্রয়োজন হবে না। সেরা চারের মধ্যে থেকেই বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করতে পারবে আর্জেন্টিনা।
কিন্তু প্রশ্ন হলো কাজটা কতটা সহজ কিংবা কঠিন? খেলাটা ইকুয়েডরের মাঠে। পয়েন্ট টেবিলে এই দেশটির অবস্থান আট নম্বরে। বিশ্বকাপে খেলার আর চান্স নেই। কিন্তু ইকুয়েডরের কাছেই তো হেরে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব শুরু করতে হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। নিজেদের মাটিতেই এই দেশটির কাছে ০-২ গোলে হেরে গিয়েছিল মেসিহীন আর্জেন্টিনা।
এবার সেই দেশটিরই রাজধানী কুইটোতে গিয়ে খেলতে হবে লিওনেল মেসিদের। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যে শহরটির উচ্চতা ৯ হাজার ৩৫০ ফুট। তবে এস্টাডিও অলিম্পিকো আতাহুয়ালপা স্টেডিয়ামটির উচ্চতা প্রায় দেড়শ ফুট কম। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৯ হাজার ১২৭ ফুট ওপরে। পয়েন্ট টেবিলের ৬ষ্ঠতম স্থানে থেকে চতুর্থ স্থানে উঠে আসতে হবে মেসিদের। এত উচ্চতায়, যেখানে কিছুক্ষণ দৌড়ানোর পরই দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হবে, সেখানে কিভাবে মেসিরা ইকুয়েডরকে হারাবে, সেটাই এখন সবচেয়ে চিন্তার বিষয়!
Advertisement
এমআর/জেআইএম