আইন-আদালত

দাঁতের চিকিৎসা নিলেন প্রধান বিচারপতি

ছুটিতে থাকা অসুস্থ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা দাঁতের চিকিৎসা নিয়েছেন। সোমবার রাজধানীর বনানীর জনসন প্যালেস ক্লিনিকে ডা. সেনফোর্ড সরকারের কাছে তিনি দাঁতের চিকিৎসা নেন।

Advertisement

এছাড়া এদিন বিকেলে প্রধান বিচারপতির বাসায় যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) একজন চিকিৎসক এবং সুপ্রিম কোর্টের দুজন বেঞ্চ রিডার।

এদিকে প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনে আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোড়দার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, সোমবার বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে সরকারি বাসভবন থেকে বের হন প্রধান বিচারপতি। পরে বনানীর ১১ নম্বরে জনসন প্যালেস ক্লিনিকে যান। সেখানে দাঁতের ডাক্তার দেখান। এক ঘণ্টা পর ওই ক্লিনিক থেকে বের হন তিনি। দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে তাকে বহনকারী গাড়িটি বাসভবনে প্রবেশ করে।

Advertisement

বিকেল ৫টার দিকে সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বাসায় যান বিএসএমএমইউ’র ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান। তিনি প্রধান বিচারপতির বাসভবনের পশ্চিম গেট দিয়ে প্রবেশ করেন এবং একই গেট দিয়ে ৫টা ২৫ মিনিটে বের হন।

এর আগে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ রিডার মাহবুব হোসেন ও আনিল হায়দার প্রধান বিচারপতির বাসায় গিয়ে সাক্ষাৎ করেন। তারা বের হন বিকেল ৫টার দিকে।

জানতে চাইলে মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, কয়েকটি রায়ে স্বাক্ষর করানোর জন্য ফাইল নিয়ে গিয়েছিলাম। তবে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের কোনো কর্মকর্তা মুখ খুলতে রাজি হননি। এর আগে রোববার রাতেই প্রধান বিচারপতি ঢাকা ছাড়তে পারেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। পড়ে তার সত্যতা মেলেনি।

গত ৫ অক্টোবর ভিসার আবেদন ও বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্নের পরই প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা ও স্ত্রী সুষমা সিনহাকে অস্ট্রেলিয়ার তিন বছরের ভিসা দেয়া হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার গুলশান-২-এ অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ার ভিসা সেন্টারে গিয়ে পাঁচ বছরের জন্য ভিসার আবেদন করেন তারা। প্রধান বিচারপতি অস্ট্রেলিয়ায় তার মেয়ের কাছে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও সূত্রটি উল্লেখ করে। তবে কবে নাগাদ তারা যাবেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। অস্ট্রেলিয়ায় প্রধান বিচারপতির বড় মেয়ে সূচনা সিনহা থাকেন।

প্রসঙ্গত, অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ২ অক্টোবর এক মাসের ছুটি চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।

এফএইচ/জেডএ/আইআই