প্রথমে মনেই করতে পারছিলেন না সর্বশেষ কবে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন। পরক্ষণেই মনে পড়লো তার। বললেন, ‘ও, না না, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেই তো একবার ম্যাচ সেরা হয়েছিলাম, কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের হয়ে।’
Advertisement
জাতীয় ক্রিকেট লিগে ঢাকা মেট্রোর হয়ে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্বাগতিক চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে অসাধারণ পারফরম্যান্স করলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ব্যাট হাতে যেমন ছিলেন সফল, তেমনি বল হাতেও ছিলেন বিধ্বংসী। দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুন্য। যেটা তাকে এনে দিল ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে মোহাম্মদ আশরাফুল করেছিলেন ৬৬ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য বেশি রান করতে পারেননি। আউট হয়েছেন ১৮ রানে। আশরাফুলের ব্যাটে ভর করে প্রথম ইনিংসে ঢাকা মেট্রোর সংগ্রহ ছিল ৩৬৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ঢাকা মেট্রো ইনিংস ঘোষণা করে ১৬৫ রানেই।
তবে বল হাতে আশরাফুল প্রথম ইনিংসে ছিলেন দারুণ সফল। ১৬ ওভার বল করে ৬৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। সাজঘরে ফেরান চট্টগ্রামের ওপেনার জসিমুদ্দিন, অধিনায়ক ইরফান শুকুর এবং সর্বোচ্চ ৫৯ রান করা সাজ্জাদ হককে। দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ১ উইকেট। ৮ ওভার বল করে মাত্র ৬ রান দিয়ে এই উইকেটটি দখল করেন তিনি। ফেরান ইফতিখার সাজ্জাদকে।
Advertisement
ম্যাচ শেষে তাই দারুণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য সেরার পুরস্কারটা তুলে দেয়া হলো আশরাফুলের হাতেই। এর আগে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শেখ জামালের বিপক্ষে অপরাজিত ৮১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তার এই ইনিংসের ওপর ভর করেই শেখ জামালকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল কলাবাগান। এই ইনিংসটিই ওই ম্যাচে তাকে ম্যাচ সেরার পুরস্কার এনে দিয়েছিল।
আইএইচএস/জেআইএম