দেশের বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকে আট শতাধিক কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) শূন্য পদে নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। চূড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের আগামী ২৫ জুনের মধ্যে নিজ জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কাজে যোগদান করার নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘রিভাইটালাইজেশন অব কমিউনিটি হেলথ কেয়ার ইনিশিয়েটিভস ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের পরিচালক ড. মাখদুমা নার্গিস শুক্রবার বিকেলে জাগো নিউজকে জানান, ইতিমধ্যেই চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের নিয়োগপত্র ডাকযোগে তাদের স্থায়ী ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, শূন্যপদের মোট সংখ্যা সাড়ে আটশর মতো হলেও সংরক্ষিত মুক্তিযোদ্ধা কোটা পূরণ না হওয়ায় আনুমানিক শতাধিক পদে নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি। প্রকল্প না হয়ে রাজস্ব খাতে হলে শূন্য কোটা পূরণ হতো বলে তিনি মন্তব্য করেন।কমিউনিটি প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ এপ্রিল সিএইচসিপি পদে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সাড়ে আটশ’ পদের বিপরীতে প্রায় ২০ হাজার প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। মোট শূন্যপদের সংখ্যার বিপরীতে মৌখিক পরীক্ষার জন্য পাঁচগুণ প্রার্থী নির্বাচিত করা হয়। পরবর্তীতে ১৬ মে থেকে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ শেষে ১৮ জুন চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতি ছয় হাজার জনসংখ্যার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে বর্তমানে দেশে মোট সাড়ে ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ও একজন করে সিএইচসিপি রয়েছে।ক্লিনিকগুলোতে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য, শিশুকালীন সমন্বিত অসুস্থতাজনিত চিকিৎসা, প্রজনন স্বাস্থ্য, টিকাদান, টিবি, ম্যালেরিয়া, নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, পরিবার পরিকল্পনার বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে শিক্ষাদান, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মূল দায়িত্ব পালন করেন সিএইচসিপি। প্রকল্প কার্যালয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে ১০ কোটি মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করে। তন্মধ্যে ২১ লাখেরও বেশি রোগীকে পরবর্তী প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।এমইউ/বিএ/পিআর
Advertisement