জাতীয়

রোহিঙ্গাদের জন্য ৬০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করেছে ব্র্যাক

মিয়ানমারের রাখাইন থেকে চলে আসা অসহায় মানুষদের জন্য উখিয়া ও টেকনাফে ১০টি স্থায়ী ও ৫০টি ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক। ইতোমধ্যে এসব কেন্দ্রে ১ লাখ ৯ হাজার ৬২১ জন স্বাস্থ্যসেবা পেয়েছে।

Advertisement

ব্র্যাকের ৪৫ জন কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কার ইউনিসেফের পরিচালনায় ‘ওরাল কলেরা ভ্যাকসিনেশন’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এর পাশাপাশি এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ৩৩৩টি পরিবারকে ঠান্ডা থেকে রক্ষা ও বসবাসের জন্য মাদুর দেয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ব্র্যাকের স্বাস্থ্য কর্মসূচির পরিচালক ডা. কাওসার আফসানা বলেন, ‘অসুস্থ মানুষ, বিশেষত প্রসূতি মায়েদের যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবার চেষ্টা করলেও এদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এখানে রোগীর তুলনায় সেবা ব্যবস্থা এখনও অপ্রতুল। এ অবস্থায় মা ও শিশুর জীবনের ঝুঁকি বাড়বে। এ মুহূর্তে দরকার একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগ।’

জানা গেছে, শনিবার পর্যন্ত ব্র্যাক ৬৮ হাজার ৮৭৫ জন শিশুকে নতুন কাপড় দিয়েছে। শিশুদের মানসিক চাপ কমাতে ইতোমধ্যে ৫৬টি শিশুবান্ধব কেন্দ্রস্থাপন করে প্রতিদিন খেলাধুলা ও গল্প বলার মাধ্যমে বিনোদনমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে ব্র্যাক। শনিবার এই কেন্দ্রগুলোতে ৪ হাজার ৫২৩ জন শিশু উপস্থিত ছিল। এদের মাঝে ৪ হাজার ২৫৯ প্যাকেট বিস্কুট বিতরণ করা হয়।

Advertisement

সারাদেশ থেকে একত্র হওয়া ব্র্যাকের ৭০০-এরও বেশি কর্মী মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। মূলত নারী ও শিশুদের জন্য জরুরি স্বাস্থ্যসেবা, টিউবওয়েল এবং শৌচাগার স্থাপনের মাধ্যমে নিরাপদ পানি, পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত উপকরণ সরবরাহ ও শিশুবান্ধব পরিসর গড়ে তোলায় কাজ করছেন তারা। এ কার্যক্রম চলছে আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম), ইউনিসেফ, ডব্লিউএফপি, অসএইড, ডিএফআইডি এবং গ্লোবাল ফান্ডের সমন্বয় ও সহযোগিতায়।

উল্লেখ্য, ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিত উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়শিবির পরিদর্শন ও সহায়তা কার্যক্রম তদারক করেছেন।

এমএ/এনএফ/জেআইএম

Advertisement