বিনামূল্যে সরকারি আইনি সেবা পেতে আয়ের সীমা বাড়ল। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে যেসব ব্যক্তির বার্ষিক আয় নির্ধারিত করমুক্ত আয়সীমার নিচে হবে তারা বিনামূল্যে সরকারি আইনি সেবা পাবেন।
Advertisement
আগের নিয়মে সুপ্রিম কোর্টে সরকারি আইনি সেবা পেতে বার্ষিক আয় এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং নিম্ন (অধস্তন) আদালতে সরকারি আইনি সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বার্ষিক আয়সীমা ছিল এক লাখ টাকা।
কিন্তু চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছর করমুক্ত আয়সীমা সাধারণ ব্যক্তির ক্ষেত্রে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, নারী ও ৬৫ বছর বা এর বেশি বয়সের ব্যক্তির ক্ষেত্রে ৩ লাখ টাকা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ক্ষেত্রে ৪ লাখ এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা করা হয়। অর্থাৎ এই পরিমাণ অর্থের নিচে বার্ষিক আয়ের ব্যক্তিরা বিনামূল্যে সরকারি আইনি সহায়তা পাবেন।
রোববার সচিবালয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার (এনএলএসও) জাতীয় পরিচালনা বোর্ডের ৩৫তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সভাপতিত্ব করেন।
Advertisement
আইন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার জানানো হয়েছে, আপিল বিভাগের অ্যাডভোকেট অন রেকর্ডের (এওআর) ফি কাঠামো পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব, বিবিধ মামলার ক্ষেত্রে (ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১এ/৪৯৮ ধারা) রিভিশন মামলার মতো বিল দেয়ার প্রস্তাব, দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারদের দায়িত্বভাতা মাসিক এক হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে।
এছাড়া ‘শ্রম আদালতের বিশেষ কমিটি প্রবিধানমালা-২০১৬’ সংশোধনের প্রস্তাব, চৌকি আদালতে লিগ্যাল এইড কমিটির জন্য ১৯টি খসড়া ফরম অনুমোদনের প্রস্তাব এবং জাতীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত আইন ও মানবাধিকার ইস্যুতে কার্যক্রম পরিচালনাকারী বেসরকারি সংস্থার একজন সদস্যকে মনোনয়ন দেয়ার প্রস্তাবও সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সভায় এনএলএসও’র জাতীয় পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও সেবাবান্ধব করতে হবে। এ সেবা প্রদানে জনগোষ্ঠীকে অবহিতকরণসহ জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।’
সভায় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক মো. জাফরোল হাছানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
আরএমএম/জেডএ/জেআইএম