জাতীয়

বর্তমান সংসদীয় সীমানায় নির্বাচন চায় জাসদ

বর্তমান সংসদীয় সীমানায় নির্বাচন চেয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ। একটি নিবন্ধিত দল থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য অনিবন্ধিত দলে যোগদান করলে ওই অনিবন্ধিত দলকে রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোয়ালিফাই না করার বিধান যোগ করার দাবি জানায় দলটি।

Advertisement

রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি ভবনে বিকেলে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব দাবি জানায় জাসদ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যান্য কমিশনার ছাড়াও ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব উপস্থিত ছিলেন।

জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল মতবিনিময় সভায় অংশ নেয়।

ইসির সঙ্গে সংলাপে জাসদ ১৭টি দাবি উপস্থাপন করে। দলটি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করে, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়টি আদমশুমারির সঙ্গে সংযুক্ত। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নতুনভাবে কোনো আদমশুমারি হচ্ছে না বিধায় দশম সংসদ নির্বাচনের সংসদীয় আসন বহাল রেখে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে।

Advertisement

দলছুট এমপিদের জাসদের নামের সঙ্গে সামঞ্জস্য কোনো নামে নতুন দল নিবন্ধনের বিষয়ে পরবর্তীতে নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও সুপারিশ করে দলটি।

প্রসঙ্গত, ইসিতে নিবন্ধিত এ দলটি ভাঙনের পর শরীফ নুরুল আম্বিয়া, সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান ও মইনউদ্দিন খান বাদলের নেতৃত্বে জাসদের আরেকটি অংশ গঠিত হয়। এ বিষয়ে কারও নাম উল্লেখ না করে দলটি দাবি জানায়, একটি নিবন্ধিত দলে থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য অনিবন্ধিত দলে যোগদান করলে ওই অনিবন্ধিত দলকে রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোয়ালিফাই না করার বিধান যোগ করতে হবে।

জাসদ-জেএসডি ও জাপা-জেপি-বিজেপির কথা উল্লেখ করে আরেকটি প্রস্তাবে বলা হয়, জাসদের পর ইসির অনুরোধে জেএসডি নামে দল নিবন্ধন নেয়া হয়েছে। নতুনভাবে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বা কাছাকাছি নামে কোনো দলকে নিবন্ধন না দেয়ার অনুরোধ জানায় ইনুর নেতৃত্বাধীন জাসদ।

এছাড়া যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর অনেকে বিএনপি এবং এর নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার পরিকল্পনা করছে বলে ইসির সঙ্গে সংলাপে অভিযোগ করে দলটি।

Advertisement

দলটি ইসিকে জানায়, জামায়াতের কেউ বিএনপি বা অন্য কোনো দলে বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারে সে বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে।

জাসদের অন্যান্য দাবি হলো- জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১০ হাজার টাকা করা, নিবন্ধিত দলের ব্যয়নির্বাহে ও প্রচারণায় নিয়মিত অনুদান, সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ইভিএম ব্যবহার, স্বতন্ত্র প্রার্থিতায় এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন তালিকার শর্ত বাতিল, দলের অনুদান আয়করমুক্ত রাখা, অনলাইনে মনোনয়নের ব্যবস্থা, ভোটে কালো টাকার ব্যবহার রোধে প্রার্থিতা বাতিল, প্রতীক বরাদ্দের দিনই জোটভুক্তদের প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার সুযোগ রাখা, স্থানীয় ও সংসদ নির্বাচনে স্বপদে থেকে নির্বাচন না করার বিধান রাখা, নির্বাচন আর্কাইভ স্থাপন করা এবং পাবলিক ও বেসরকারি পর্যায় থেকে অবসরের পর ভোটে অংশ নেয়ার শর্ত শিথিল করার দাবি জানায় দলটি।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে ইসি। এরই ধারাবাহিকতায় জাসদের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে ২৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করল ইসি।

৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করে ইসি। ২৪ আগস্ট থেকে দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করে নির্বাচন কমিশন।

এইচএস/এমএআর/আরআইপি