খেলাধুলা

লাঞ্চের আগে মুশফিকের বিদায়

একের পর এক ব্যাটসম্যান আসা-যাওয়ার মধ্যেই আছেন বাংলাদেশের। পাহাড় সমান রান তাড়া করার বদলে টাইগার ব্যাটসম্যানরা হিমশিম খাচ্ছেন প্রোটিয়া বাউন্স সামলাতে। উইকেট যাওয়ার ধারাবাহিকতায় লাঞ্চের আগেই শেষ সংযোজন মুশফিকুর রহীম

Advertisement

পারনেলের ওভারের পঞ্চম বলটি মুশফিক ছেড়ে দিলেও সামান্য প্যাডে লেগে উইকেট রক্ষকের হাতে যায়। সাথে সাথে আবেদন করেন পারনেল। আবেদনে সাড়াও দেন আম্পায়ার। তারপরও রিভিউ নিয়েছিলেন মুশফিক। তবে রিভিউ নেয়ায় ফল হয়নি। রিভিউতে স্পষ্টই দেখা গেছে তিনি এলবির ফাঁদে পড়েছেন। ফলে ২৬ রান নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে টাইগার দলপতিকে।

লাঞ্চের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ৯২ রান। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে লাঞ্চের পর মাঠে নামার কথা রয়েছে সাব্বির রহমানের। আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১৪ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।

এর আগে পাহাড় সমান রান তাড়া করতে নেমে দিনের শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে বসেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এক পাশ আগলে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন ইমরুল কায়েস। তবে তাকে বেশিদূর এগোতে দেননি ওলিভিয়ার।

Advertisement

ওলিভিয়ারের বল ছেড়ে দিয়ে অনেকটা ব্যাট দিয়ে খোঁচা মারতে গিয়ে ডি ককের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ইমরুল। ফলাফল, ৩২ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয় এই ওপেনারকে।

এদিকে তৃতীয় দিন শুরুতেই সৌম্যকে (৩) সাজঘরে ফেরান কাগিসো রাবাদা। এরপর সৌম্যের বদলে উইকেটে আসা মুমিনুলকেও ফেরান সেই রাবাদাই।

ইনিংসের নবম ওভারের শেষ বলটি বাউন্স দেন রাবাদা। যেটিকে জাগিয়ে খেলতে গেলে ডিপ স্কয়ার লেগ অঞ্চলে দাঁড়ানো মহারাজের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মমিনুল। ফলে মাত্র ১১ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয় এই টেস্ট স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যানকে।

এর আগে মাত্র তিন রানেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সৌম্য সরকার। রাবাদার বলটি সৌম্য সামনের পা এগিয়ে খেলতে গেলে ব্যাটের কোণায় লেগে সেকেন্ড স্লিপের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যেতে শুরু করে। কিন্তু সেকেন্ড স্লিপে দাঁড়ানো দু প্লেসি ঝাঁপিয়ে পরে ক্যাচটি লুফে নেন।

Advertisement

এদিকে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ৫৭৩ রানের বিপরীতে ব্যাট করতে নেমে গতকাল ১৪৭ রানেই অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। এক লিটন দাস ছাড়া বাকিরা ব্যস্ত ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের জন্য যেটা ব্যাটিং স্বর্গ বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের জন্য সেটাই যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছিল। লিটন দাস করেন ৭০ রান।

এমএএন/এমএমআর/আরআইপি