খেলাধুলা

শোক, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় অমলেশ সেনকে বিদায়

শেষ বারের মতো অমলেশ সেনকে বিদায় জানালো আবাহনী এবং ফুটবল অঙ্গনের মানুষ। খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে দীর্ঘ ৪৫ বছর আবাহনীতে কাটিয়ে ক্লাবটির ঘরের ছেলে হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। রোববার সেই ঘর থেকে শেষ বারের মতো বিদায় নিলেন অমলেশ সেন।

Advertisement

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্য অমলেশ সেন মারা যান শনিবার সন্ধ্যায়। রোববার সকাল ১০ টার দিকে তার মরদেহ নেয়া হয়েছিল আবাহনী ক্লাবে। প্রায় দেড় ঘন্টা ধানমন্ডির ক্লাবটিতে সাবেক-বর্তমান ফুটবলার ও সংগঠকরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জাতীয় দলের সাবেক এ মিডফিল্ডারকে। অমলেশ সেনের মরদেহ ঢেকে দেয়া হয় আবাহনীর পতাকা দিয়ে। খোলা হয়েছে শোক বই, অর্ধনমিত রাখা হয়েছে ক্লাবের পতাকা। ঘোষণা করা হয়েছে ৩ দিনের শোক।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী (সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী) ওবায়দুল কাদের, বর্তমান যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, সদস্য শেখ মোহাম্মদ আসলাম, ইলিয়াছ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ, সাবেক ফুটবল গোলাম সারোয়ার টিপু, কাজী জসিম উদ্দিন জোসী, হাসানুজ্জামান খান বাবলু, ইমতিয়াজ সুলতান জনি, আরমান মিয়াসহ আরো অনেক সাবেক-বর্তমান ফুটবলরার শেষ শ্রদ্ধা জানান অমলেশ সেনকে। ক্লাবের দীর্ঘ দিনের শুভাকাঙ্খি অমলেশ সেনের মরদেহ ক্লাব থেকে বের করার সময় তৈরি হয় আবেকঘন পরিবেশ। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

অমলেশ সেন চলে গেলেন হঠাৎই। শনিবার বিকেলেও অনুশীলন করিয়েছেন ফুটবল দলকে। রোববার ছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ শেখ জামালের বিরুদ্ধে। অনুশীলনের পর টিম ব্রিফিংয়ের সময় অসুস্থ বোধ করলে আবাহনীর বর্ষিয়ান এ কোচ নিজ কক্ষে যান। কিন্তু সেটাই হলো ফুটবল মাঠ থেকে তার শেষ যাওয়া। হাসপাতালে নিতে নিতেই নিভে যায় বাংলাদেশের ফুটবলের অমলেশ সেন নামের প্রদীপটি।

Advertisement

দুপুরেই সবুজবাগের শ্মশানঘাটে অমলেশ সেনের শেষ কৃত্যানুষ্ঠান হওয়ার কথা। অমলেশ সেনের চিরবিদায়ের মধ্যে দিয়ে অবসান হলো দেশের ফুটবলের এক রঙিন অধ্যায়ের।

আরআই/এমআর/এমএস