জাতীয়

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ৯১ হাজার রোহিঙ্গা নিবন্ধিত

নিপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৯১ হাজার ৪২৩ জন বায়োমেট্রিক (আঙ্গুলের ছাপ) পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছেন।

Advertisement

সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাঁচটি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদফতর এ নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।

তথ্য বিবরণীতে আরও বলা হয়, কুতুপালং ক্যাম্পে ২ হাজার ৭৯ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ২ হাজার ৪৯৩ জন, থাইংখালী ক্যাম্পে এক হাজার ৬৬৪ জন, বালুখালী ক্যাম্পে এক হাজার ৯৭ জন, লেদা ক্যাম্পে এক হাজার ৭৬২ জনসহ শনিবার পাঁচটি কেন্দ্রে মোট ৯ হাজার ৯৫ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।

Advertisement

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বেসরকারি উৎস হতে প্রাপ্ত ত্রাণ সরকারি উদ্যোগে ও ব্যবস্থাপনায় বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

মিয়ানমারের সীমান্তে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চেকপোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৫ আগস্ট থেকে নতুন করে রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর অভিযান চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। তখন থেকে রোহিঙ্গারা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে।

গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জানান, গত ২৫ আগস্ট থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি।

অপর তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে, উখিয়ায় স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষে শনিবার ৫৯ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ৯০ ট্রাকের মাধ্যমে ৪৯১ মেট্রিক টন ত্রাণ জমা দিয়েছে। এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৩৬ হাজার ৯৬৭ প্যাকেট শুঁকনো খাবার, ৪ হাজার ১৭০ প্যাকেট শিশু খাদ্য, ৩ হাজার ৭০০ প্যাকেট রান্না করা খাবার, এক হাজার ৬০০ প্যাকেট ওষুধ, ২ হাজার ২৫০ পিস পোশাক, ৪ হাজার ৯০০ গৃহস্থালি সামগ্রী, এক হাজার ৮০০ স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার তৈরির উপকরণ। এসব ত্রাণ আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

Advertisement

আরএমএম/বিএ/এমএস