লিটন দাস একাই যা একটু লড়লেন। বাকি ব্যাটসম্যানরা কেউই তাকে সঙ্গ দিতে পারলেন না। ব্লমফন্টেইনে লিটনের লড়াকু ৭০ রানের পরও তাই বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে গেল ১৪৭ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ৪২৬ রানে এগিয়ে থেকে ফলোঅনে পাঠিয়েছে টাইগারদের। দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে বিনা উইকেটে ৭ রানে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।
Advertisement
বাংলাদেশ ইনিংসের শুরু থেকেই আতংক ছড়িয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান পেসাররা। যে উইকেটে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের আউটই করা যাচ্ছিল না, সে উইকেটে ৪৯ রান তুলতেই বাংলাদেশের টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান ফিরেন সাজঘরে। এই চার ব্যাটসম্যানের কেউই দুই অংকের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। এই চার ব্যাটসম্যান হলেন সৌম্য সরকার (৯), মমিনুল হক (৪), মুশফিকুর রহিম (৭) ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (৪)।
তবে উইকেটের একটা প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন ইমরুল কায়েস। তার উপর ভরসা করে ছিলেন টাইগার ভক্ত-সমর্থকরা। শেষ পর্যন্ত আশা জাগিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন এই ওপেনারও। ২৬ রান করে কাগিসো রাবাদার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি।
এরপর শুন্য রানে রাবাদার তৃতীয় শিকার হয়েছেন সাব্বির রহমান। তবে সতীর্থদের এমন ব্যর্থতার দিনে একাই লড়েছেন লিটন দাস। উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান প্রোটিয়া বোলিং সামলে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট হাফসেঞ্চুরি। শেষপর্যন্ত ৭৭ বলে ১৩ চারের সাহায্যে ৭০ রান করে রাবাদার শিকার হয়েছেন তিনি।
Advertisement
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৫৭৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা, যা বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্টে সর্বোচ্চ দ্বিতীয় ইনিংস আর ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ ইনিংস। বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ ইনিংসটি ২০০৮ সালে চট্টগ্রামের মাটিতে ৫৮৩ রানের।
৫৭৩ রান তুলতে দক্ষিণ আফ্রিকা হারায় মাত্র ৪টি উইকেট। তবে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন চার প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। তারা হলেন ডিন এলগার (১১৩), এইডেন মার্করাম (১৪৩), হাশিম আমলা (১৩২), ফাফ দু প্লেসিস (১৩৫)। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন শুভাশীষ রায় আর একটি উইকেট পেয়েছেন রুবেল হোসেন।
এমএমআর/এআরএস
Advertisement