স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করেছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)।
Advertisement
শনিবার পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (নন-ক্যাডার) শেখ সাখাওয়াৎ হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অনিবার্য কারণবশত এ পরীক্ষা বাতিল করার কথা উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ৬ অক্টোবর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ পদের এমসিকিউ (মাল্টিপল চয়েজ কোয়েশ্চেন) টাইপ লিখিত পরীক্ষা অনিবার্য কারণবশত বাতিল করা হলো। পরবর্তীতে অনুষ্ঠেয় উক্ত পদের এমসিকিউ টাইপ লিখিত পরীক্ষার নাম তারিখ ও সময় যথাসময়ে জানানো হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ায় এ পরীক্ষা বাতিল করা হয়।শুক্রবার সকালে রাজধানীর ১০টি কেন্দ্রে মোট ৪ হাজার ৬শ সিনিয়র স্টাফ নার্স (ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাযেন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি ৩৬০০ ও মিডওয়াইফ ১০০০) বিপরীতে ১৬ হাজার ৯শ’ জন নার্স এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
Advertisement
পরীক্ষার শুরুর আগেই পিএসসির চার সেট প্রশ্নের সবকটি পরীক্ষার্থীদের হাতে চলে যায়। পরীক্ষায় চার সেটের একটি কামিনী সেটের প্রশ্ন আসে। পরীক্ষার্থী নার্সদের অভিযোগ প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ায় বিপুল সংখ্যক নার্স এক ঘণ্টার পরীক্ষা অর্ধেক সময়েই শেষ করে।
জানা যায়, পিএসসির এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজশে ঢামেকের কতিপয় নার্স নেতা প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এসব নেতারা বিভিন্ন নার্সিং হোস্টেলে গিয়ে সর্বনিম্ন ২০ হাজার থেকে ৫০/৬০ হাজার টাকায় প্রশ্নপত্র বিক্রি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে শুক্রবার বিকেলে এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি গুজব বলে জানান। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি গুজব। পিএসপির কোনো পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের সম্ভাবনা নেই। অভিযোগকারী হয়তো কোনো সন্দেহের বশবর্তী হয়ে বলে থাকতে পারেন। তবে কোনো প্রশ্ন ফাঁস হয়নি।’
২০ মিনিটে উত্তরপত্র জমা নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা এক ঘণ্টার। এর আগে উত্তরপত্র জমা নেয়ার কথা নয়, তবে যদি কেউ নিয়ে থাকেন তাহলে বিষয়টি দেখা হবে।’
Advertisement
এমইউ/এমএআর/জেআইএম