অর্থনীতি

তামাকের কারণে বছরে ৫৭ হাজার জনের মৃত্যু

তামাকের কারণে প্রতি বছর বাংলাদেশে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যুসহ ১১ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট নামের একটি সংগঠন।

Advertisement

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতি অনুমোদন ও জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি প্রণয়ন জরুরি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তামাক একটি সর্বগ্রাসী পণ্য। এটি জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য মারাত্মক হুমকি। ২০০৯ সালের তথ্য অনুসারে বাংলাদেশে ৪৩ দশমিক ৩০ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন।

তারা আরও জানান, তামাক ব্যবহারের প্রত্যক্ষ ফল হিসেবে বাংলাদেশে প্রতিবছর ৫৭ হাজার জন মৃত্যুবরণ এবং ১২ হাজার মানুষ নতুন করে তামাক ব্যবহারজনিত প্রধান আটটি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়া রোগীর চিকিৎসা, অকালমৃত্যু ও পঙ্গুত্বের কারণে বছরে দেশের অর্থনীতিতে ১১ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।

Advertisement

তামাকের এ ভয়াবহতা থেকে বেরিয়ে আসতে বাংলাদেশে উৎপাদিত ও আমদানিকৃত তামাকজাত দ্রব্য বিক্রির ওপর আরোপিত স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জের অর্থ দিয়ে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি গ্রহণের দাবি জানান বক্তারা।

তারা বলেন, সরকার ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে উৎপাদিত ও আমদানিকৃত সব তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয় মূল্যের উপর ১ শতাংশ হারে ‘স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ’ আরোপ করে। কিন্তু ৩ বছরেও এ অর্থ জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি। এ অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল একটি খসড়া স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতি ২০১৭ প্রস্তুত করেছে। তামাক কোম্পানিগুলোর পক্ষে অ্যাশ বাংলাদেশ নামে একটি সংস্থার রিটের কারণে এ নীতি অনুমোদন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে।

আদালত অ্যাশ বাংলাদেশকে তামাক কোম্পানির প্রতিভূ হিসেবে চিহ্নিত করেছে উল্লেখ করে তামাকবিরোধী জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা চাই খসড়া নীতি দ্রুত অনুমোদন হোক। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে সারচার্জের অর্থেই ‘জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি’ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

Advertisement

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাছিমা বেগম, প্রত্যাশা মাদকবিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ প্রমুখ।

এমএএস/এমএমজেড/ওআর/আরআইপি