ভারতের বিপক্ষে অভিষেকেই জয়ের নায়ক বনে গেলেন পাতলা লিকলিকে শরীরের মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথম দর্শনে তাকে পেস বোলার হিসেবে বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও তিনিই বল হাতে ৫ উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দিয়েছেন ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ।
Advertisement
বাঁ-হাতি এই পেসারের তোপেই ভারতের বিপক্ষে ৭৯ রানের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ তে অভিষেকে যোগ্যতার প্রমাণ রাখা ১৯ বছর বয়সী এই বোলার ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকে দেখা দিলেন আরো উজ্জ্বল হয়ে। সেই উজ্জ্বলতার ফলও পেলেন অভিষেকেই ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়ে। পাশাপাশি বাংলাদেশের নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে গড়ে তুললেন নিজেকে।
এর আগে বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার এবং বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ব্যাটে ভর করে ভারতকে ৩০৮ রানের টার্গেট দেয় টাইগাররা।
বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ তারা করতে নেমে মাশরাফি, তাসকিন, মুস্তাফিজের আটোঁসাটোঁ বোলিংয়ে তোপে পড়ে ভারত। মুস্তাফিজুর রহমান প্রথম স্পেলেই রোহিত শর্মা ও অজিঙ্কা রাহানেকে ফিরিয়ে দেন। কিন্তু ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়তে হয় মুস্তাফিজুর রহমানকে। নিজের সপ্তম ওভার শেষ না করেই ড্রেসিংরুমে ফেরেন টাইগার এই বোলার। কিন্তু সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরেই উইকেটে থিতু হওয়া সুরেশ রায়নাকে বোল্ট করে সাজঘরে ফেরান মুস্তাফিজ। পরের বলেই রবি চন্দ্রন আশ্বিনকে ফিরিয়ে হ্যাট্রিকের সম্ভাবনা জাগান তিনি। কিন্তু ভুবনেশ্বর কুমার তার হ্যাট্রিক ঠেকিয়ে দিলেও ৫ উইকেট ঠেকাতে পারেনি ভারত। আর তার ৫ উইকেটের কারণেই হারও ঠেকাতে পারেনি ভারত। ভারতকে হারনোর ফল হিসেবেই অভিষেকেই ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার জিতেন লিকলিকে শরীরের মালিক মুস্তাফিজুর রহমান।
Advertisement
বাংলাদেশ দলে ভুরি ভুরি বাঁ-হাতি স্পিনার। কিন্তু একজন ভালোমানের বাঁ-হাতি পেসার যেন সোনার হরিণ। সৈয়দ রাসেলের পর আর কেউ দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশ দলে খেলতে পারেননি। তবে মুস্তাফিজুর রহমান শুরুতেই জানিয়ে দিলেন হারিয়ে যেতে আসেননি তিনি।
চমক হিসেবে প্রথম ওভারেই অভিষিক্ত মুস্তাফিজুর রহমানকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অধিনায়ক মাশরাফি। একেকটা বল করছেন আর গ্যালারিতে প্রতিধ্বনি হচ্ছে ইশশ...। প্রতিটি বলেই আউট করার মতো সুযোগ তৈরি হয়েছে। মুস্তাফিজুর প্রথম ওভারে দিলেন চার রান। দ্বিতীয় ওভারে আরও বিধ্বংসী রূপে হাজির হলেন। প্রতি বলেই ব্যাটসম্যান পরাস্ত, বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে গেছে। দ্বিতীয় ওভারে দেন এক রান। পরবর্তীতে নিজের ৯.২ ওভারে ৫০ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট।
একে/এসএইচএস
Advertisement