জাতীয়

সন্তোষজনক সূচকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ

আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) এর আদর্শ মান অনুযায়ী, কোনো দেশের সূচক ৬০-এর ওপর হলে সে দেশের এভিয়েশন খাতকে সন্তোষজনক মানের বিবেচনা করা হয়, বর্তমানে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) ৭৭ দশমিক ৪৬-এ উন্নীত হয়েছে। ২০১২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৫০ দশমিক ২। আইকাওর টেকনিক্যাল কমিটির অডিট টিম গত ২৭ সেপ্টেম্বর এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন বেবিচকের কাছে হস্তান্তর করেছে।

Advertisement

বিষয়টি নিশ্চিত করে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাঈম হাসান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা অনেক ভালো অবস্থানে আছি। নিকট ভবিষ্যতে আইকাও প্রতিনিধি দল আসছে। আশা করছি ক্যাটাগরি-১-এ উন্নীত হবো।

এক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, নিরাপত্তা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনা, কারিগরি সুবিধা সর্বপরি প্রতিটি দিক ও বিভাগে পেশাদারিত্বের বিষয়টি বিবেচনায় আইকাও প্রতিটি দেশেরই এভিয়েশন খাতের মান নির্ধারন করে থাকে। কোনো দেশের সূচক মান ৬০-এর ওপর থাকলে সে দেশের এভিয়েশন খাতকে সন্তোষজনক বিবেচনা করা হয়।

ফ্লাইট নিরাপত্তায় দুর্বলতার কারণ দেখিয়ে ২০০৯ সালে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) দ্বিতীয় ক্যাটাগরির নিয়ন্ত্রণ সংস্থা হিসেবে চিহ্নিত করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটি (এফএএ)। ওই সময় ক্যাটাগরি-১-এ উন্নীত হতে কিছু শর্ত দেয়া হয়, যা পূরণে কাজ করছে বেবিচক। তবে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) অডিট প্রতিবেদনে এভিয়েশন কান্ট্রি রেঙ্কিং এ অনেকাংশে উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের।

Advertisement

উল্লেখ্য, বর্তমানে এভিয়েশন মানে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সূচক ৭১। আর নেপাল ৬২ ও ভুটানের ৫৭। শুধু প্রতিবেশী দেশগুলো নয়, এভিয়েশন কান্ট্রি মানের সূচকে এখন বাংলাদেশের নিচে রয়েছে কাতার (সূচক ৬৭), রাশিয়া (সূচক ৭০), মালয়েশিয়া (সূচক ৭২), ইন্দোনেশিয়া (সূচক ৬৮) এবং কুয়েতের (সূচক ৬৯) মতো এভিয়েশন খাতে অগ্রগামী দেশগুলোও। আইকাওর অন্তর্ভুক্ত ১৯২টি দেশের মধ্যে মাত্র ৩৫টির এভিয়েশন কান্ট্রি মানের সূচক ৭৫-এর বেশি। আর সূচক ৭৭ অতিক্রম করেছে, এমন দেশের সংখ্যা ৩০টির বেশি নয়।

আরএম/একে/জেআইএম