রাজনীতি

বিচারব্যবস্থাকে নিজেদের আয়ত্তে নিয়েছে সরকার : রিজভী

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাকে গুণ্ডামির মাধ্যমে জোরপূর্বক এক মাসের ছুটি দেয়া হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘গোটা বিচারব্যবস্থাকে নিজেদের আয়ত্তে নিয়েছে সরকার।’

Advertisement

শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘প্রধান বিচারপতিকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার এটি প্রথম পদক্ষেপ। এখন নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ ও আইন বিভাগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। সব বিভাগের ওপরই একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল শেখ হাসিনার।’

তিনি বলেন, ‘মানুষের বিচার প্রার্থনার শেষ আশ্রয়স্থলটুকু আর থাকল না। এর ফলে আগামী দিনের সকল রায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেই নিয়ন্ত্রণ হবে বলে জনমনে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ প্রধান বিচারপতিকে হুমকি দিয়ে ছুটি নিতে বাধ্য করা অথবা ছুটির নামে জালিয়াতি করা হয়েছে সেটি নজীরবিহীন।’

Advertisement

‘যেভাবে তাকে নাজেহাল করা হয়েছে, যেভাবে বিচার বিভাগের সম্মান, মর্যাদা ও ভাবমূর্তি নস্যাৎ হয়েছে তাতে বিচার বিভাগের সম্মান ও ভাবমূর্তি বলে কিছু অবশিষ্ট রইল না। এই সরকারের দুঃসহ দৌরাত্মের বিরুদ্ধে সকলে মিলে সোচ্চার না হলে ভবিষ্যতে বিরোধী দল, মত ও বিশ্বাসের লোকদেরসহ ন্যায় বিচার পাওয়ার আরা কোনো সম্ভাবনাই থাকবে না।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের নিষ্ঠুর প্রতিহিংসার শিকার হবে সরকার-বিরোধীরা। দেশকে স্থায়ী দুঃশাসনের বজ্র আঁটুনিতে বেঁধে ফেলা হলো। বিচার বিভাগের ওপর আরও নগ্ন হস্তক্ষেপ করে ন্যাবিচারের পথকে চিরতরে রুদ্ধ করে দেয়া হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। এই ঘটনায় গোটা বিচারব্যবস্থাকেই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দেয়া হলো।

তিনি আরও বলেন, একজন সুস্থ ব্যক্তিকে অসুস্থ বানিয়ে পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার ইতিহাস আওয়ামী লীগের অনেক পুরনো। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক টাঙ্গাইলের শামসুল হককে পাগল বানানো হয়েছিল। এরপর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকেই অসুস্থ বানিয়ে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা অাতাউর রহমান ঢালী, খায়রুল কবির খোকন, বিলকিছ জাহান শিরিন, সরফত আলী শপু, আবদুস সালাম অাজাদ, সানাউল্লাহ মিয়া, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মুনির হোসেন, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

এমএম/বিএ/এমএস