খেলাধুলা

বাংলাদেশের যুবাদের ক্রিকটে শেখাল আফগানিস্তান

অবশেষে অফগানদের কাছে হেরেই গেল বাংলাদেশ! সিলেটের মাঠে স্বপ্ন ছিল প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার। অথচ, নিজেরাই প্রতিপক্ষের কাছে সিরিজে হার মানতে হয়েছে। পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচেও বাংলাদেশ যুবাদের হারিয়ে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের উল্লাসে মেতেছে সফরকারী আফগানিস্তান অনুর্ধ্ব-১৯ দল। গতকাল শুক্রবার সিলেটের মাঠে ৩৩ রানে হারে বাংলাদেশ।

Advertisement

সিরিজের শুরুটা ছিল দারুণ। ১৪৫ রানের বড় ব্যবধানে আফগানদের হারিয়ে সূচনাটা ভালো করেছিল বাংলাদেশের যুবারা। প্রথম ম্যাচে হারের পর জন্য গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে আফগানরা। দ্বিতীয় ম্যাচ ভাসিয়ে নিল বৃষ্টি; কিন্তু এর পরের টানা তিন ম্যাচে বাংলাদেশ পরাজয় ‘উপহার’ দিয়েছে ক্রিকেটে সদ্য টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া দেশটি।

সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে পাঁচ উইকেটে, চতুর্থ ম্যাচে ৪৫ রানে হারের পর আজ পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে ৩৩ রানে হেরেছে বাংলাদেশের যুবারা। অবশ্য আগের দুই ম্যাচের মতো ‘গো হারা’ নয়, এ ম্যাচে বেশ ‘উন্নতি’ করেই হেরেছেন সাঈফ হাসান, পিনাক ঘোষরা।

আফগানদের বিপক্ষে এই সিরিজটি ছিল বাংলাদেশের যুবাদের নিউজিল্যান্ড যুব বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। নিজেদেরকে কতটা প্রস্তুত করে তুলতে পেরেছে তারা, সেটাই ছিল দেখার বিষয়। কিন্তু আফগানদের বিপক্ষে উন্নতি তো দুরে থাক, উল্টো সিরিজ পরাজয়ের লজ্জায় পুড়তে হলো সাইফ হাসানদের।

Advertisement

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নামে সফরকারীরা। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইব্রাহিম জাদরানের ৮৩, মিডল অর্ডারে আব্দুল রাসেলের ৭৫ আর কায়েস আহমদ কামালির ২৮ রানের সুবাদে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান তোলে আফগানরা।

রাসেল আর কামালির ব্যাট যেন তরবারি হয়ে কচুকাটা করেছে বাংলাদেশের বোলারদের। রাসেলের ৭৫ রান এসেছে ৪৭ বলে, কামালির ২৮ রান আসল ১১ বলে! বাংলাদেশের নাঈম ২টি এবং সাঈফ, আফিফ ও হাসান মাহমুদ একটি করে উইকেট শিকার করেন।

জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালোই ছিল বাংলাদেশের। ২৯ রানের উদ্বোধনী জুটির পর ৭৮ রানে পতন হয় তৃতীয় উইকেটের; কিন্তু এরপর দিক হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশের ব্যাটিং। দলীয় শত রানের আগেই ছয় ব্যাটসম্যান ফিরে যান সাজঘরে। পরাজয় তখন কতো দ্রুত হয়, সেটাই ছিল অপেক্ষার। ১০৮ বলে ৯৩ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে দলের হার এড়াতে না পারলেও পরাজয়টা বিলম্বিত করেন তাওহীদ হৃদয়।

এর আগে উইকেটে থিতু হয়েও ফিরে যান অধিনায়ক সাঈফ (২৮ রান) ও রাকিব (২৫)। ৪৮.২ বলে অলআউট হওয়ার আগে বাংলাদেশ ২০৬ রান করতে সমর্থ হয়। আফগানদের হয়ে ওয়াফাদার ৪টি, কায়েস আহমদ কামালি ৩টি ও মুজিব জাদরান ২টি উইকেট শিকার করেন। পুরো সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করা মুজিব জাদরান হয়েছেন সিরিজ সেরা।

Advertisement

ছামির মাহমুদ/আইএইচএস/জেআইএম