অর্থনীতি

রমজানের শুরুতেই অস্থিতিশীল কাঁচাবাজার

প্রতিবছরের মতো এবারও রমজানের শুরুতে বেড়েছে শাক-সবজি ও মাছ-মাংসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম। সরেজমিনে দেখা গেছে, রমজান মাসের প্রথম শুক্রবার হওয়ায় বাজারে ক্রেতাদের ভিড় একটু বেশি। তবে দাম বেশ চড়া।পুরান ঢাকার সূত্রাপুর, ধুপখোলা, শ্যামবাজারসহ মতিঝিল, হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা যায় রমজান উপলক্ষে বেগুন, শশা, টমেটো, ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, ছোলা, ডাবলি, মটর, আলু, পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচসহ বেশকিছু সবজির দাম বেড়েছে।রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার শ্যামবাজারের বিক্রেতা আব্দুল জলিল বলেন, ‘এ বাজারে আলুর পাল্লা (৫ কেজি) ১০০ থেকে ১১০ টাকা, পেঁয়াজের পাল্লা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, কাঁচা মরিচের পাল্লা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, টমেটোর পাল্লা ২০০ থেকে ২১০ টাকা, শশার পাল্লা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা ও বেগুনের পাল্লা ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।’প্রসঙ্গত, এক পাল্লা সমান ৫ কেজি। শ্যামবাজারে ৫ কেজির নিচে কোনো সবজি বিক্রি হয় না।শ্যামবাজার থেকে পুরান ঢাকার অন্যান্য খুচরা বাজারে পণ্য কিনে নিয়ে যায় বিক্রেতারা। তাই সূত্রাপুর ও ধুপখোলাসহ অন্যান্য বাজারগুলোতে জিনিসপত্রের দাম একটু বেড়ে যায়।হাতিরপুল বাজারের বিক্রেতা মো. গোলাপ জানান, এ বাজারে বেগুন ৮০-৯০ টাকা কেজি, টমেটো ও শশা ৫০-৬০ টাকা কেজি, ধনেপাতা ও পুদিনা পাতা ২০ টাকা আঁটি, পেঁয়াজ ৪৫-৫৫ টাকা কেজি ও কাঁচামরিচ ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।এ ছাড়াও পুরান ঢাকার সূত্রাপুর, ধুপখোলা, শ্যামবাজার, নাজিরাবাজারসহ মতিঝিল ও হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি, জীবন্ত ফার্মের মুরগি ১৪৫ থেকে ১৬৫ টাকা কেজি, ফার্মের মুরগির মাংস ২৩০ থেকে ২৫৫ টাকা কেজি ও খাসির মাংস ৪৯০ থেকে ৫৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।অন্যদিকে, মসুর ডাল ১১০-১২০, মুগ ডাল ১২০-১৩০, খেসারির ডাল ৪৫-৬০, ছোলা ৫০-৬০, চিনি ৫০-৫৫, রসুন ৮০-১০০, আদা ১৭০-১৮০ কেজি ও সয়াবিন ১০০-১২০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে।সূত্রাপুর বাজারে কেনাকাটা করতে আসা নিলু জানান, রমজান উপলক্ষে সব জিনিসের দাম ১০-২০ টাকা করে বেড়েছে। সরকারের এত প্রতিশ্রুতির পরও জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বমুখী দামের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কিছু করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।সরকারের মনিটরিং সেল এবারও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদেরও আটকাতে পারছে না বলে দাবি করেন তিনি।অন্যদিকে দাম বাড়ার ব্যাপারে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি করে সূত্রাপুর বাজারের বিক্রেতা মেহবুব বলেন, ‘আমাদের হাতে কিছু নেই। আমাদেরই বেশি দামে কিনতে হয়। আমরা যদি একটু লাভ না রাখি তাহলে আমরা কিভাবে খাব?’

Advertisement