আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার কারো বিরুদ্ধেই যাবে না ভারত

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্করের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। একই দিন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গেও বসেছেন শহীদুল। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তাদের মদ্যে বিশদ আলোচনা হয়েছে।

আগস্টের শেষের দিকে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসা শুরুর পর দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব এই প্রথম বসলেন।

বৈঠকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো পক্ষ থেকেই কিছু জানানো হয়নি। তবে বিবিসি বাংলা জানতে পেরেছে মূলত তিনটি বিষয় বাংলাদেশের সামনে তুলে ধরা হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে।

Advertisement

এসবের মধ্যে রয়েছে- মিয়ানমার ও বাংলাদেশ উভয়েই ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। দু’দেশের সঙ্গেই তাদের সম্পর্ক খুব ভাল। ফলে এক দেশের পক্ষ নিয়ে অন্য দেশের প্রতি ভারত কিছুতেই আক্রমণাত্মক হতে পারবে না।

তবে এরপরও ভারত চুপচাপ বসে নেই বলে বাংলাদেশকে আশ্বাস দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, নেপথ্যে তারা কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ ছাড়া এই সংকটের মানবিক দিকটার বিষয়ও উঠে আসে বৈঠকে। তার অংশ হিসেবে শুরু হয়েছে 'অপারেশন ইনসানিয়ত'। মূলত ওই অপারেশনের অংশ হিসেবেই কয়েকদিন আগে প্রচুর পরিমাণ ত্রাণ নিয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর স্পেশাল এয়ারক্র্যাফট।

একই সঙ্গে ভারত বাংলাদেশকে এটাও বুঝিয়ে দিয়েছে যে শরণার্থীদের ফেরত নিতে মিয়ানমারকে রাজি করাতে ভারত একা কিছুই করতে পারবে না। কারণ হিসেবে দেশটি বলছে, এর জন্য প্রয়োজন আন্তর্জাতিক স্তরে একটা সম্মিলিত কূটনৈতিক প্রয়াস।

Advertisement

সে বিষয়টা মাথায় রেখে বাংলাদেশকে ভারতের পরামর্শ- চীন বা রাশিয়ার সঙ্গেও আলাদাভাবে কথা বলতে, যাতে তারাও মিয়ানমারের ওপর তাদের প্রভাবটাকে কাজে লাগাতে পারে।

এনএফ/এমএস