ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর রাশিয়া বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পেতে পেরুর বিপক্ষে জয়ের কোন বিকল্প ছিল না আর্জেন্টিনার।
Advertisement
কিন্তু ঘরের মাঠে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরতে হলো মেসিদের। পেরুর সঙ্গে গোলশুন্য ড্র করে ১৯৭০ সালের পর আবারও ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় পড়ে গেল আর্জেন্টিনা।
ঘরের মাঠ বুয়েনস আইরেসে দিবালা ও ইকার্দির বদলে লিওনেল মেসির সঙ্গে আক্রমণভাগে জুটি গড়েন আলেহান্দ্রো দারিও গোমেজ ও বোকা জুনিয়র্সের স্ট্রাইকার বেনেদেতো। ম্যাচের শুরু থেকে গোছানো ফুটবল খেলে প্রতিপক্ষ শিবিরে আক্রমণ চালাতে থাকে স্বাগতিকরা। ম্যাচের ১৪ মিনিটে কর্নার থেকে পাওয়া বলে মেসির শট প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে বাইরে চলে যায়। এর ১০ মিনিট পর ডি মারিয়ার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
ম্যাচের ৩৯ মিনিটে গোল করার কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন মেসি। তিনজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নেওয়া আরেকটি শট একটুর জন্য বাঁ পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। আর যোগ করা সময়ে মেসির ক্রসে বেনোদেতো মাথা লাগাতে পারলেও সহজ সে সুযোগকে গোলে রূপান্তর করতে পারেননি এই স্ট্রাইকার।
Advertisement
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে আর্জেন্টিনা। গোলের সুযোগও পেয়েছিল মেসি-বেনেদেতো। তবে মেসির বাড়ানো বলে বেনেদেতোর শট ঠেকান গোলরক্ষক। ফিরতি বলে নেওয়া মেসির শটে পোস্টে লেগে ফিরে আসে। পরের মিনিটেই লুকাস বিলিয়ার নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচিয়ে দেন গায়েসে। আর ৫৮ মিনিটে মেসির দুর্দান্ত এক থ্রু পাস থেকে আর্জেন্টিনাকে প্রায় এগিয়ে দিয়েছিলেন আলেহান্দ্রো গোমেজ। কিন্তু গালেসের আরেকটি সেভ তা হতে দেয়নি।
শেষ মুহূর্তে দুটো ফ্রি কিক পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি মেসি। উল্টো যোগ করা সময়ে ফ্রি কিক থেকে পেরুকে জয় এনে দিচ্ছিলেন স্ট্রাইকার গুরেরো। তবে রোমেরোর দুর্দান্ত সেভ হারের মুখ থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে আর্জেন্টিনাকে। আর সঙ্গে বাঁচিয়ে রেখেছেন আর্জেন্টিনার শেষ আশাও।
এমআর/এমএস
Advertisement