রাজধানীর বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান পার্টির ২১ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবার মধ্যরাত ও বৃহস্পতিবার সকালে যাত্রাবাড়ি, শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং হাইকোর্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গোয়েন্দা পুলিশের য্গ্মু-কমিশনার মনিরুল ইসলাম।তিনি বলেন, ঈদে রাজধানীতে অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা বেড়ে যায়। এদের খপ্পরে পড়ে অনেকে মারা যান। কেউবা দীর্ঘ দিন অসুস্থ থাকেন। আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে আমারা বিশেষ অভিযান শুরু করেছি। ইতোমধ্যে জাল টাকা তৈরির দুটি সিন্ডিকেটকে ধরা হয়েছে।তিনি বলেন, অজ্ঞানপার্টির সদস্যদের ধরতে গোয়েন্দা পুলিশের (পশ্চিম) একটি টিম পৃথক অভিযানে ২১ জনকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে চেতনানাশক ওষুধ, মলম ও অজ্ঞান করার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃত ২১ জন তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কাজ করতো। মা এই তিন গ্রুপের দলনেতা হলেন- আল-আমিন, জুম্মন ও দেলোয়ার। গ্রেফতারকৃতরা তাদের দোষ স্বীকার কারায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমান ১২ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড, ছয়জনকে একবছর করে এবং তিনজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড প্রদান করেন।মনিরুল ইসলাম বলেন, সাজা প্রাপ্তরা অনেকেই বিভিন্ন সময়ে র্যা্ব, পুলিশ ও গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ে জেলে খেটেছে। পরে ছাড়া পেয়ে আবারো একই কাজে লিপ্ত হয়। নিয়মিত মামলা দিলে আইনের মারপ্যাচে রমজানেই আবার জামিনে বেরিয়ে আসতে পারে। তাই নিয়মিত মামলা না দিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন মেয়াদে সাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ অন্তত কিছুটা রক্ষা পাবে।গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আল-অমিন, নিয়ন খান, তৌহিদুল ইসলাম সোহেল, আব্দুস সামাদ ওরফে সালমান, আলী হোসেন ভ’ইয়া, উজ্জাল, জুম্মান, আনিস, মাইনুদ্দিন, শহিদুল, রমজান, মোহাম্মদ আলী, ওয়াজিব, সুমন, তুষার, দেলোয়ার হোসেন বাবু, মাসুদ ওরফে ল্যাংড়া মাসুদ, আমির হোসেন, শুক্কুর, আলী খোকন, ও আক্তার হোসেন। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতরা তাদের দোষ স্বীকার করায় ঢাকা মহানগর পুলিশের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন।জেইউ/এএইচ/আরআই
Advertisement