পুঁজিবাজারের নিয়ণ্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তদন্ত কমিটি গঠনের পরও ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার প্রবণতা থামেনি।
Advertisement
ফলে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতে আবারও প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে বৃহস্পতিবার তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
ডিএসই জানিয়েছে, কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বাড়ার পেছনের কারণ জানতে চেয়ে ৪ অক্টোবর নোটিশ পাঠানো হয়। এর জবাবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের যে অস্বাভাবিক দর বেড়েছে তার জন্য তাদের কাছে অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।
এর আগে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণে গত ২৫ জুলাই তদন্ত কমিটি গঠন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। চলতি বছরের ২৯ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার প্রেক্ষিতে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি শেয়ার দর বাড়ে ৫৬ শতাংশ।
Advertisement
বিএসইসির তদন্ত কমিটি গঠনের পরও প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম কিছুদিন বাড়তে থাকে। তবে ৭ আগস্ট থেকে কমতে থাকে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার দর; যা সেপ্টেম্বর মাসজুড়েই অব্যাহত থাকে। কিন্তু চলতি মাসের শুরু থেকে আবার কোম্পানির শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে।
চলতি মাসের প্রথম কার্যদিবস শেষে ফু-ওয়াং ফুডের প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ১৯ টাকা ২০ পয়সা; যা দুই কার্যদিবসের ব্যবধানে বেড়ে ২২ টাকা ২০ পয়সা হয়। অর্থাৎ দুই কার্যদিবসে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর বেড়েছে ১৬ শতাংশ। এমন দর বাড়ার কারণেই ডিএসই থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে আর্থিক বিবরণী তৈরিতে অনিয়ম করায় গত জুলাই মাসে ফু-ওয়াং ফুডের প্রত্যেক পরিচালককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করে বিএসইসি। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের আর্থিক বিবরণীতে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি ফু-ওয়াং বেভারেজের হিসাবে সমন্বিত করে কনসল্যুটেড ফিনান্সিয়াল স্টেটমেন্ট তৈরি করে।
পাশাপাশি সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে অগ্রিম হিসেবে ২ কোটি ৫৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা ২০১৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বিবরণীতে দেখানো হয়েছে। কিন্তু এর বিপরীতে প্রয়োজনীয় প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানটি।
Advertisement
একই সঙ্গে ওয়ার্ক ইন প্রগ্রেস হিসাবে ২০১৪ সালের হিসাবের ক্যাশ ফ্লো স্টেটমেন্টে ২ কোটি ১৪ লাখ ২২ হাজার ১৪০ টাকা এবং ২০১৩ সালের স্টেটমেন্টে ৩ কোটি ২৫ লাখ ৭৮ হাজার ৯২২ টাকা দেখানো হলেও, এর বিপরীতে প্রয়োজনীয় প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয় ফু-ওয়াং ফুড।
এই অপরাধের কারণে ফু-ওয়াং ফুডের স্বতন্ত্র ও মনোনীতি পরিচালকদের বাদ দিয়ে বাকি পরিচালকদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জারিমানা করে বিএসইসি।
এমএএস/এনএফ/পিআর