‘কিছু মনে করবেন না। এখন কোনো কথা বলতে পারব না। দম ফেলারও সময় পাচ্ছি না। খুবই ব্যস্ত আছি।’ স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রশীদ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ঠিক এভাবেই নিজের ব্যস্ততার কথা জানিয়ে জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
Advertisement
শুক্রবার সারাদেশে একযোগে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দেশের ১৯টি সরকারি ও একটি ডেন্টাল কলেজসহ মোট ২০টি কেন্দ্রের ৩৪টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিতব্য এ পরীক্ষায় মোট ৮২ হাজার ৮৫৬ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।
পরীক্ষার আগের দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ডা. মো. আবদুর রশীদসহ স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রশ্নপত্র বিতরণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ও তাদের প্রতিনিধিরা সকাল থেকে একজন ম্যাজিস্ট্রেট ও একাধিক পুলিশ সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে প্রশ্নপত্র নিতে এসেছেন। তাদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে পরীক্ষার্থীর সংখ্যার সঙ্গে প্রশ্নপত্রের সংখ্যা মিলিয়ে ট্রাংকে সিলগালা করে বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে।
Advertisement
অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রশীদ জানান, ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ও তাদের প্রতিনিধিদের কাছে সিলগালা করা প্রশ্নপত্রের ট্রাংক বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। দুপুরের পর ঢাকার মেডিকেল কলেজগুলোতে একইভাবে প্রশ্নপত্র বুঝিয়ে দেয়া হবে। ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশি প্রহরায় প্রশ্নপত্র পরিবহন করা প্রতিটি গাড়ি ট্রাকিং করা হবে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অধিদফতরে বসেই কোন পথে কোন গাড়ি যাচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করা যাবে। বৃহস্পতিবার প্রশ্নপত্রের ট্রাংক সরকারি ট্রেজারিতে থাকবে। শুক্রবার পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র হলে নেয়া হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার মোট ৮২ হাজার ৮৫৬ পরীক্ষার্থী শুক্রবার ২০টি সরকারি মেডিকেল কলেজের ৩৪টি ভেন্যুতে এক হাজারের বেশি হলে পরীক্ষা দেবেন। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নয় হাজার ৯৯৯ জন, স্যার সলিমুল্লাহ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও ময়মনসিংহে সাত হাজার করে, চট্টগ্রামে ছয় হাজার ৭৬ জন, রাজশাহীতে ছয় হাজার ১৪৪, সিলেট এম এ জি ওসমানিতে দুই হাজার ৮১৮, বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে এক হাজার ৭৬০, রংপুরে চার হাজার ৮১১, কুমিল্লায় চার হাজার ৬৫, খুলনায় সাড়ে তিন হাজার, বগুড়ায় তিন হাজার ৬৩৩, ফরিদপুরে এক হাজার ৫২৮, দিনাজপুরে এক হাজার ৩৩৭, পাবনায় এক হাজার ৪৯৯, কিশোরগঞ্জে ৮১৯, গোপালগঞ্জে ৮৬৮, গাজীপুরে দুই হাজার, মুগদায় পাঁচ হাজার ও ঢাকা ডেন্টাল কলেজে ছয় হাজার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন।
এমইউ/এআরএস/এমএআর/পিআর
Advertisement