গরম কিংবা শীতের পোশাক নয়, এই সময়ের পোশাক হওয়া চাই এই দুইয়ের মাঝামাঝি। আর সাজটাও তারইসঙ্গে মানিয়ে। পোশাকের ফেব্রিক নির্বাচনে সতর্ক থাকতে হবে। তবে স্টাইলটাও থাকা চাই। আরামের জন্য বেছে নিতে পারেন সুতি কাপড়। পাশাপাশি কামিজ, কুর্তি, টপস পরতে পারেন চায়না কটন, কটন জামদানি, শিপন, তাঁত, খাদি কাপড়েরও। সালোয়ারের জন্য ফাইন কটন, বেক্সি পপলিন কাপড় আরামদায়ক। এসময়ে সুতি কাপড়ই শ্রেষ্ঠ। জর্জেট, তাঁত, খাদি, জামদানি কাপড়গুলোও এ সময় আরামদায়ক।
Advertisement
শাড়িও হতে পারে এ সময়ের সঙ্গী। স্টাইল ধরে রাখতে একরঙা সুতি, কোটা কিংবা তাঁতের শাড়ির সঙ্গে পরুন চেক, কুর্শিকাটা লেস বসানো অথবা প্রিন্টের ব্লাউজ। আর যদি গরমে হালকা শাড়িটাকে পার্টি উপযোগী করতে চান তবে জরির কাজের চিকন অথবা চওড়া পাড় বসিয়ে নিতে পারেন। সুতির বাইরেও জর্জেট, সিল্ক, নেট কাপড়ের লং কামিজ, টপস, স্কার্ট, গাউন ধাঁচের পোশাক এ সময় বেশ ফ্যাশনেবল এবং আরামদায়ক।
আরও পড়ুন: রূপচর্চার দরকারি টিপস
জিন্স টি-শার্টের সঙ্গে নেট জ্যাকেট, টপসের সঙ্গে কটি কিংবা স্কার্ফ, পোশাকের ওপর বাটারফ্লাই পঞ্চ কিংবা সুপার ড্রেসগুলো এ সময় আপনাকে করে তুলবে স্টাইলিশ। টি-শার্ট কিংবা টপসের সঙ্গে লেগিংস, জেগিংস, গ্যাবার্ডিন আরামদায়ক হবে। তরুণীদের ব্লু ন্যারো ফিট ডেনিমের সঙ্গে জর্জেটের প্রিন্টের স্কার্ফ নিয়ে আসবে দারুণ স্টাইলিশ লুক। অফিসে শাড়ি পরতে চাইলে এ সময় অনায়াসে বেছে নিতে পারেন সিল্ক, তসর, কটন, অ্যান্ডি কটনজাতীয় শাড়ি। রঙের ক্ষেত্রে বেছে নিন লাল, মেরুন, সবুজ, বেগুনি, নীলসহ বিভিন্ন রং। একঘেয়েমি দূর করতে পরতে পারেন চাপা সাদা, হালকা গোলাপি, ঘিয়া, আকাশি রঙগুলো।
Advertisement
নারীর সাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি প্রসাধনী হচ্ছে মেকআপ। নিজেকে আরেকটু আকর্ষণীয় আর অনন্যা করে তুলতে মেকআপ ব্যবহার করে থাকেন বেশিরভাগ নারী। তবে এই মেকআপের আধিক্য আমাদের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলার বদলে অনেকটাই কমিয়ে দেয়। বরং হালকা মেকআপেই আপনি হয়ে উঠতে পারেন গর্জিয়াস। বেইজ মেকআপের ক্ষেত্রে ভারী ফাউন্ডেশন যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। দিনের বেলা ম্যাট ফাউন্ডেশন দিয়ে বেইজ করা ভালো। ত্বক তৈলাক্ত হলে প্রথমে সারা মুখে লুজ পাউডার লাগিয়ে তারপর ফাউন্ডেশন লাগাতে হবে। এতে মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী হবে। ত্বক যা-ই হোক, কমপ্যাক্ট পাউডার দিয়ে বেইজ মেকআপ শেষ করা ভালো। রাতের সাজে তৈলাক্ত ত্বকে দিন ‘লিকুইড ফাউন্ডেশন’। আর শুষ্ক ত্বকে ‘ক্রিম ফাউন্ডেশন’।
আরও পড়ুন: মুখের সতেজভাব ধরে রাখতে করণীয়
রাতের জমকালো অনুষ্ঠানে চাইলে শিমার পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। নাক একটু টিকালো দেখানোর জন্য নাকের দুপাশে গাঢ় শেইডের কনসিলার দিয়ে উপরে লম্বা করে হালকা শেডের কনসিলার দিন। একইভাবে চোয়ালের শেপ ঠিক করে নিন। কনসিলার ছাড়াও ব্রোঞ্জিং পাউডার দিয়েও কনট্যুর ও হাইলাইট করা যায়। চাইলে চোখও হাইলাইট করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ঠোঁটের জন্য ‘ন্যাচারাল স্কিন কালার’ মানানসই। হালকা বা ভারী- সাজ যা-ই হোক, চোখ আর ঠোঁটের সাজ হবে বিপরীত।
শারীরিক সুস্থতা এবং ত্বকের সুস্থতা দুটোর জন্যই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন প্রকার তাজা ফলের শরবত, ডাবের পানি, কাটা ফলও খেতে হবে। বেশি তেলমসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। বরং মাছের ঝোল, সবজি, সালাদ ইত্যাদি শরীরের জন্য ভালো। শরীর ঠান্ডা রাখতে টকদই খুব উপকারী। বাইরের পানি, পানীয় এবং রাস্তার ধারের খোলা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই সঙ্গে ছাতা, সানগ্লাস, স্কার্ফ ও পানির বোতল রাখুন।
Advertisement
এইচএন/পিআর