গরু হত্যার দায়ে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের রাজ্য পুলিশ। না, কোনো মুসলমান গরু জবাই করেননি; বাছুর হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া দু’জনই হিন্দু।
Advertisement
পুলিশ বলছে, বাছুর হত্যার মাধ্যমে তারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছিল। গোন্ডা জেলার পুলিশ সুপার উমেশ কুমার সিং বিবিসিকে বলেন, শনিবার দিবাগত রাতে কাটরা বাজার এলাকার একটি গ্রাম থেকে দু‘টি বাছুর চুরি হয়ে যায়। পরে বাছুর দুটোর গলা কেটে ফেলে রাখা হয়।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে থেকে মঙ্গল এবং রাসসেবক নামের দু’জনকে পালাতে দেখেন স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা। পরে সেখানে বাছুর মারা দেখে তারাই পুলিশে খবর দেন। সোমবার দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বাছুর দু’টির মরদেহ পড়ে থাকার ফলে সাময়িকভাবে এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল বলেও স্বীকার করেন তিনি।
Advertisement
উমেশ কুমার আরও বলেন, অনেক পুলিশ পাঠাতে হয়েছিল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে। দু’জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে।
তিনি একনাগাড়ে বলতে থাকেন, তারা পরিকল্পনা করেই বাছুর দুটি চুরি করেছিল। পরে মেরেও ফেলে। বড় ধরনের কিছু ঘটনোর চেষ্টা হয়েছিল কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে।
তবে উমেশ এও স্বীকার করেন, ওই দুজনকে গ্রেফতার না করলে, পরিস্থিতি খুব খারাপ হতে পারতো। রোববার উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের বেশ কিছু স্থানে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল।
তার উপর সময়টা ছিল হিন্দুদের উৎসবের। দশেরা, নবরাত্রি, দুর্গাপুজার মতো বড় উৎসবের মৌসুমের পাশাপাশি মুসলমানদের মহররমও ছিল। সেকারণে উভয় ধর্মের অনুসারীরা অনেক লোকবলসহ দাঙ্গা লেগে যেতে পারতো।
Advertisement
অশান্তি ছড়িয়েছিল কানপুর, বালিয়া এবং আগ্রায়। ভাঙচুর করা হয়েছে বহু দোকানপাট, গাড়ি। আগ্রায় দশেরার অনুষ্ঠানের পর ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে কট্টর হিন্দুত্ববাদী দু’টি সংগঠনের ৮০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি
কেএ/এমএস