জয়টা অনেক গুরুত্বের টিম বিজেএমসির জন্য। কেবল প্রতিপক্ষ রহমতগঞ্জ বলেই নয়, বিজেএমসির জয়টির আরো বেশি গুরুত্ব ছিল প্রথম পর্বে পয়েন্ট টেবিলে একটু ভদ্রস্থ স্থানে থাকার সম্ভাবনা তৈরির। ৯০ মিনিট দাঁতে দাঁত চেপে সেটা পেরেছেন বিজেএমসির ফুটবলররা। ২-১ গোলে এগিয়ে গিয়ে স্কোরটা ধরে রাখতে পেরেছে তারা।
Advertisement
এ অর্জনের বড় কৃতিত্ব দলটির গোলরক্ষক আরিফুজ্জামান হিমেলের। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে তিনি দলকে বাঁচিয়েছেন নির্ঘাত গোল খাওয়া থেকে। ঠেকিয়ে দিয়েছেন রহমতগঞ্জের গাম্বিয়ান মিডফিল্ডার মোস্তফা জাত্তার পেনাল্টি। মোস্তফা পোস্ট ঘেঁষে বলটি জালে পাঠাতে প্রচন্ড গতির শট নিয়েছিলেন। কিন্তু বাম দিকে ঝাপিয়ে সে শট রুখে দিয়েছেন হিমেল। ম্যাচের পর হিমেলই হয়ে উঠলেন বিজেএমসির জয়োৎসবের মূল কেন্দ্রবিন্দু।
ম্যাচটি শুরুর আগে বিজেএমসির অবস্থান ছিল টেবিলে দশম। তিন পয়েন্ট তাদের তুলে এনেছে ৭ নম্বরে। এ জয় তাদেরকে বসিয়েছে মোহামেডানেরও উপরে। প্রথম পর্বের বাকি দুই ম্যাচে ভাল কিছু করতে পারলে তারা টেবিলে ভদ্রস্থ অবস্থানেই থাকতে পারবে। এখন তাদের পয়েন্ট ৯, মোহামেডানের ৮। হেরেও ১০ পয়েন্ট নিয়ে বিজেএমসির উপরে রহমতগঞ্জ।
রহমতগঞ্জ যে কোনো দলের জন্যই বিপদজনক। বিজেএমসি কেন, বড়বড় দলই তাদের সঙ্গে খেলতে নামলে থাকে ভয়ে ভয়ে। কিন্তু কাল বিজেএমসি অনেক কৌশলেই লিগে নিজেদের দ্বিতীয় জয়টি নিয়ে মাঠ ছাড়ে। ১৯ মিনিটে মেহেদী হাসান তপুর গোলে এগিয়ে গেলেও তা বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি এ সার্ভিসেস দলটি। ২২ মিনিটেই পুরোনো ঢাকার দলকে ম্যাচে ফেরান নাইজেরিয়ান মানডে ওসাগিয়ে। বিজেএমসি অবশ্য এগিয়ে গিয়েই বিরতিতে যায়। ৩৯ মিনিটে শিমুলের ফ্রি-কিক থেকে হেডে গোল করেন ক্যামেরুনের ডিফেন্ডার বাইবেক।
Advertisement
আরআই/এমআর/এমএস