বাণিজ্য বাধা দূর করতে বাংলাদেশ- ভারতের সংলাপের মাধ্যমে সমস্য সমাধানের পরামর্শ দিলেন ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
Advertisement
তিনি বলেন, দেশের অগ্রগতিতে দক্ষতা বাড়ানো ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলে সেটার প্রভাব সরাসরি জাতীয় অর্থনীতিতে পড়ে।
রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত 'বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া বিজনেস মিটিং' এ তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসি) প্রেসিডেন্ট পঙ্কজ প্যাটেল এবং এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক এ. কে. এম. শোহিদ রেজা বক্তব্য রাখেন।
Advertisement
অরুণ জেটলি বলেন, শিক্ষা, যোগাযোগ ও বিদ্যুত খাতে দুই দেশ যৌথভাবে কাজ করতে পরে। নতুন অর্থনৈতিক জোন তৈরি করায় বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানান তিনি।
ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছেন সফরত অরুণ জেটলি।
তিনি বলেন, ভারতের পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ রয়েছে বাংলাদেশ চাইলে তা নিতে পারে। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগানোর তাগিদও দিয়েছেন তিনি।
জেটলি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো সমাধান হয়েছে। এখন সময় এসেছে অর্থনৈতিকভাবে সম্পর্ক নতুন মাত্রায় নেয়ার।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বাণিজ্যিক হিসেবেও ভারতে বড় বন্ধু। কৃষি, ওষুধ, আইটি ও স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে কাজ করতে পারে। এতে যু্ক্ত হলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।
অরুণ জেটলি বলেন, সীমান্তের কাছে বাংলাদেশের দুটি ইকোনোমিক জোন রয়েছে। এখান থেকে ভারত ট্রেড করা গেলে বাণিজ্য আরও বাড়বে।
তিনি বলেন, আমাদের দুই দেশের সুসম্পর্ক ও সম্ভাবনার সর্বোচ্চটা কাজে লাগাতে পারলে সামাজি, অর্থনৈতিক ও সরকারি পর্যায়ে এর সুফল পাওয়া যাবে।
সুন্দরবন ও সমুদ্র সৈকতকে কাছে লাগিয়ে ভারত ও বাংলাদেশ পর্যটন এক সঙ্গে কাজ করাতে পারে বলে মন্তব্য করে অরুণ জেটলি।
অরুণ জেটলি বলেন, দুই দেশই ওভার পপুলেট। তাদের জন্য চাকুরি নিশ্চয়তা করা একটা ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়। ভারত তাদের জনসংখ্যাকে দক্ষ করার জন্য প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশ চাইলে এ ব্যপারে সহায়তা নিতে পারে।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে দৃঢ় হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক উদীয়মান দেশ। আমারা আগামী ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ উন্নীত হবো।
এমইউএইচ/এএইচ/এমএস