বার্সেলোনা যতটা না কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার জন্য সোচ্চার, তার চেয়েও বেশি সোচ্চার ক্লাবটির ফুটবলার জেরার্ড পিকে। শুধু তাই নয়ম কাতালোনিয়ান ক্লাবগুলোর বাইরে রিয়াল মাদ্রিদসহ স্পেনের অন্যক্লাবগুলোকে সুযোগ পেলেই খোঁচানো যেন একটা অভ্যাসে পরিণত করেছেন পিকে। কাতালুনিয়ার গণভোটে বলতে গেলে সবার আগে গিয়ে ভোট দিয়ে এসেছেন এই সুপারস্টার।
Advertisement
রোববার গণভোটের সময় বার্সেলোনাজুড়ে সংঘর্ষের কারণে বার্সা ক্লাব কর্তৃপক্ষ চেয়েছিল, লাস পালমাসের বিপক্ষে ম্যাচটি না খেলতে। লা লিগা কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চেয়েও সেটা পায়নি বার্সা। যে কারণে, দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলতে হয়েছে বার্সেলোনাকে। যদিও ড্রেসিং রুমেই বেঁকে বসেছিলেন জেরার্ড পিকে। বিভিন্ন মিডিয়ার খবর, পিকে চাননি কোনোভাবেই এই ম্যাচ খেলতে।
বার্সেলোনা শহরে পুলিশ যেভাবে স্বাধীনতাকামীদের ওপর হামলে পড়েছিল এ জন্য সাংবাদিকদের সামনে কেঁদে দিয়েছিলেন পিকে। অশ্রুভেজা চোখে তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, স্পেন ফুটবল ফেডারেশন যদি চায় তাহলে জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি। পিকে বলেন,‘পেশাদার ফুটবলার হিসেবে এটা আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ অভিজ্ঞতা ছিল। ম্যাচটা হবে কিনা সেটা ঠিক ছিল না। শেষ পর্যন্ত অনেক আলোচনার পর আমরা খেলতে নেমেছি৷ আমি কাতালান জনগণকে নিয়ে গর্বিত৷ আমি নিজেও কাতালান৷ তারা সবসময়ই আমাদের সমর্থন জুগিয়েছে৷ তবে যেভাবে পুলিশের কাতালানদের উপর অত্যাচার করেছে সেটা আমি মেনে নিতে পারছি না৷ তাই এই ঘটনার পর নিজেকে আরও বেশি কাতালান মনে হচ্ছে।’
চলমান স্পেন-কাতালান দ্বন্দ্বের কারণে আগেই অবসর নিতে পারেন পিকে। সেটার আভাষও দিলেন এদিন৷ লাস পালমাস ম্যাচের পর তিনি বলেন, ‘যদি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কোনো পরিচালক কিংবা অন্য কেউ মনে করে আমি স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের জন্য সমস্যা, তাহলে আগামী বিশ্বকাপের আগেই সরে দাঁড়াবো৷ তবে একটা কথা বলতে চাই জাতীয় দলের হয়ে খেলাটা সবসময়ই আমার জন্য গর্বের বিষয় ছিল৷’
Advertisement
আইএইচএস/জেআইএম