নির্মাণ কাজ মাসখানেক আগেই শেষ হয়েছে। ধোয়া মুছা শেষ প্রায় সপ্তাহখানেক হবে। এখন অপেক্ষা শুধু উদ্বোধনের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের পর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার সর্বসাধারণের যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
Advertisement
মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে চোখে পড়ে চকচকে ফ্লাইওভারটি। ফ্লাইওভারের ইস্কাটন থেকে মৌচাকের সড়কটি খুলে দেয়া হলেও বিপরীত পাশের মগবাজার ওয়্যারলেস থেকে বাংলামোটরের সড়কটি এখনও বন্ধ আছে। এই সড়কটির দুই মুখেই দড়ি দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। ভেতরের লেন তৈরিসহ রং-চুনার কাজ শেষ। ফ্লাইওভারের রাজারবাগ ও রামপুরার সড়কের কাজও শেষ। অনেকে হেঁটে ফ্লাইওভার দেখছেন।
ফ্লাইওভারটির নির্মাণ কাজ তিন ভাগে করা হয়েছে। একটি অংশে রয়েছে সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি পর্যন্ত, আরেকটি অংশে শান্তিনগর-মালিবাগ-রাজারবাগ পর্যন্ত এবং শেষ অংশটি বাংলামোটর-মগবাজার-মৌচাক পর্যন্ত।
মগবাজার-মৌচাক সমন্বিত ফ্লাইওভার প্রকল্পের পরিচালক সুশান্ত কুমার পাল মঙ্গলবার জাগো নিউজকে বলেন, ফ্লাইওভারের শতভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ফিনিশিংও শেষ। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের সময় দিলেই সবগুলো সড়ক খুলে দেয়া হবে।
Advertisement
২০১১ সালের ৮ মার্চ একনেকে অনুমোদন পায় এই প্রকল্প। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১১ সালে যখন এই ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল, তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর পর কয়েক ধাপে ব্যয় বেড়ে হয়েছে এক হাজার ১৩৫ কোটি টাকা।
কাজ দীর্ঘ হওয়ার কারণ নিয়ে সর্বশেষ আলোচনায় এসেছে ফ্লাইওভারের নকশার ত্রুটি। এই ফ্লাইওভারটি ঢাকার যানজট কমানোর বদলে বাড়িয়ে দিতে পারে-এমন আশঙ্কাও করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১৬ সালের ৩০ মার্চ ফ্লাইওভারের হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত অংশটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা উদ্বোধন করেন। ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ফ্লাইওভারের ইস্কাটন-মৌচাক অংশের যান চলাচল উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তৃতীয় ধাপে ফ্লাইওভারের এফডিসি মোড় থেকে সোনারগাঁও হোটেলের দিকের অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় এ বছরের ১৭ মে।
Advertisement
এই ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজের জন্য গত ৬ বছর মগবাজার-মৌচাক ও রামপুরার অধিবাসীদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে এসব সড়ক দীর্ঘ যানজট ও হাঁটাচলার অনুপযোগী ছিল। এআর/এআরএস/আরআইপি