জনপ্রিয় অভিনেতা ডাক্তার এজাজুল ইসলাম। নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরেই তিনি অভিনয় ভুবনে পথচলা শুরু করেন। অসংখ্য নাটকে কাজ করে ডাক্তার এজাজ পেয়েছেন তুমুল জনপ্রিয়তা। এছাড়া কাজ করেছেন কয়েকটি চলচ্চিত্রেও। মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘তারকাঁটা’ ছবিতে অভিনয় করে জিতে নিয়েছেন সেরা পার্শ্ব অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। এটিই তার প্রথম কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি অভিনয়ের জন্য।
Advertisement
অভিনয়ের পাশাপাশি ডা. এজাজ পেশায় নামকরা একজন চিকিৎসক। এর আগে তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসে কর্মরত ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগে প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু প্রচারবিমুখ এই অভিনেতার দারুণ অর্জনটি থেকে গেছে সবার আড়ালেই।
তবে ডা. এজাজের এই অর্জনকে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন নির্মাতা অনিমেষ আইচ। তিনি লিখেছেন, ‘দেশের মানুষের কাছে তিনি একজন স্বনামধন্য অভিনেতা পাশাপাশি একজন সুচিকিৎসক। সম্প্রতি তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হয়েছেন, অবশ্যই এটি আমাদের জন্য গর্ব ও আনন্দের। কিন্তু এ নিয়ে কোন সংবাদ দেখলাম না কোন পত্রিকা কিংবা টেলিভিশন চ্যানেলে। অথচ কার সংগে কার ডিভোর্স হলো, কার সুন্দরী হওয়ার নেপথ্য ইতিহাস কি? এনিয়ে জাতির মাথা ব্যাথার অন্ত নাই। মিডিয়ার মানুষদের বিজয়ের গল্প ও সাধারন মানুষদের জানা দরকার। এ ইতিহাস কেবল কিছু বিভ্রান্তির গল্পে সীমাবদ্ধ নয়। অভিনন্দন এজাজ ভাই।’
মঙ্গলবার দুপুরে জাগো নিউজকে ডা. এজাজ বলেন, ‘ছয়মাস আগেই নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। বর্তমানে এখানেই কর্মরত আছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজি অফিস থেকে পদোন্নতি পেয়ে এখানে এসেছি। সবার কাছে দোয়া চাচ্ছি, যেন আমি আমার দায়িত্ব পালনে সৎ এবং সচেষ্ট থাকি।’
Advertisement
চিকিৎসায় নিউক্লিয়ার মেডিসিনের কাজ কী জানতে চাইলে ডা. এজাজ বলেন, ‘এটি চিকিৎসা বিজ্ঞাপনের এমন শাখা যেখানে তেজস্ক্রিয় পদার্থ দিয়ে রোগ নির্ণয় করা হয়। এছাড়া এর অপারেশনের পর নিউক্লিয়ার মেডিসিন বা তেজস্ক্রিয় পদার্থ ব্যবহার করা ক্যানসারের সুপ্ত জীবাণু ধ্বংস করা হয়। পাশাপাশি রেডিও নিউক্লাইড দিয়ে থাইরয়েড, কিডনি এবং হার্টের বিভিন্ন রোগ নির্ণয় এবং ক্ষেত্র বিশেষে চিকিৎসা করা হয়।’
ডা. এজাজুল ইসলাম রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে এমবিবিএস পাশ করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) থেকে ১৯৮৯ সালে নিউক্লিয়ার মেডিসিনে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি তিনি নিয়মিত অভিনয়ও করছেন।
ডা. এজাজ অভিনীত একাধিক ধারাবাহিক নাটক বাংলাভিশন, মাছরাঙ্গা টিভিতে প্রচার হচ্ছে। এছাড়া গেল ঈদে তিনি মাসুদ সেজানের নির্দেশনায় তিনটি সাত পর্বের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছেন।
হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ধারাবাহিক নাটক ‘সবুজ সাথী’ দিয়ে অভিনয়ের যাত্রা শুরু এজাজুল ইসলামের। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’।
Advertisement
এনই/এলএ