খেলাধুলা

মুশফিকের ক্ষমা প্রার্থনা

দক্ষিণ আফ্রিকায় এর আগে যে চারটি টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ, সবগুলোতেই ছিল ইনিংস পরাজয়। এবারই প্রথম সেই লজ্জা থেকে মুক্তি পেলো টাইগাররা; কিন্তু এক লজ্জা থেকে মুক্তি পেলে কী হবে, আরও একটি লজ্জার যে জন্ম দিল মুশফিকুর রহীম অ্যান্ড কোং!

Advertisement

পচেফস্ট্রম টেস্টে বাংলাদেশ যে পরাজয় বরণ করলো ৩৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে! নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় পরাজয়ের মধ্যে এটি দ্বিতীয় স্থানে। এর আগে ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার কাছে ৪৬৫ রানের আরও একটি বিশাল ব্যবধানে পরাজয় রয়েছে বাংলাদেশের।

ইনিংস ব্যবধানে হার এড়ালেও ৩৩৩ রানের ব্যবধান কম কথা নয়। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ব্যাট করলে হয়তো ইনিংস পরাজয়ই ঘটতো। কারণ, প্রথম ইনিংসে যে প্রোটিয়াদের লিড ছিল ১৭৬ রানের! ৪২৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৯০ রানে অলআউট! এটা বিশ্বাস করার মত কথা নয়। সর্বশেষ, ১০ বছর আগে ১০০ রানের নিচে এভাবে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তো সর্বনিম্ন রানের স্কোরই এটা। মজার বিষয় হলো, প্রথম ইনিংসে যে ৩২০ রান হয়েছিল, সেটা আবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ।

এমন লজ্জাজনক হারের ব্যাখ্যা মুশফিকের কাছেও খুব একটা নেই। এ কারণে, পচেফস্ট্রমে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকুর রহীম জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এমন পরাজয়ে খারাপ লাগছে মুশফিকের। এ কারণেই বললেন, ‘সর্বশেষ বাংলাদেশ এমন ব্যাটিং করেছে কবে, ভুলেই গিয়েছি! খুবই খারাপ লাগছে। অনেকভাবে হারা যায়। আমাদের অন্তত দুই সেশন খেলার সামর্থ্য ছিল। আরেকটি সুযোগ আছে পরের টেস্টে। দুর্দান্তভাবে এগোতে হবে। না হলে এমন লজ্জা ছাড়া আর কিছুই নিয়ে ফিরতে পারব না।’

Advertisement

পরের টেস্টেই ঘুরে দাঁড়াতে চান মুশফিক। সে সঙ্গে জাতির কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিলেন তিনি। মুশফিক বলেন, ‘এখনো মনে করি, ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেট ভালো ছিল। ব্যাটসম্যানরা তাঁদের দক্ষতা দেখাতে পারেননি। অধিনায়ক হিসেবে আমি খুবই হতাশ, ভীষণ খারাপ লাগছে। অন্তত লড়াই তো করতে পারতাম। ক্ষমা চাইছি জাতির কাছে। আমাদের পরের টেস্টে ভালো করা দরকার। আশা করি, পরের টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভালো করতে পারব আমরা।’

আইএইচএস/জেআইএম