বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য মজুদ ও আমদানি আইন বিষয়ক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ ন্যাশনাল অথরিটি ফর কেমিক্যাল উইপন্স কনভেনশন (বিএনএসিডব্লিউসি)। বুধবার ঢাকা সেনানিবাসস্থ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।বাংলাদেশে অসংখ্য সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানি/সংস্থা তফসিলভুক্ত বা তফসিল বহির্ভূত স্বতন্ত্র জৈব রাসায়নিক দ্রব্য মজুদ, ব্যবহার ও আমদানি করে থাকে। বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষকে ২০০৬ সালের রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন মাধ্যমে সকল প্রকার বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার, মজুদ ও আমদানি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব অর্পন করা হয়।সভায় তফসিলভূক্ত ও তফসিল বহির্ভূত রাসায়নিক দ্রব্যের আমদানি ও রপ্তানি ক্ষেত্রের নিয়মাবলী, ঔষধ শিল্প কারখানায় ঔষধ প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা, সেফটি ও সিকিউরিটিজ এবং জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন এর দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।আলোচনা সভায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এজাজুল বার চৌধুরী সমাপনী বক্তব্য রাখেন। আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, বাংলাদেশ কেমিক্যালস ইন্ডাষ্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) এর অতিরিক্ত প্রধান রাজিউর রহমান মল্লিক এবং জাতীয় কর্তৃপক্ষ, নির্বাহী সেল এর লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাকারিয়া হোসেন ও লেফটেন্যান্ট কমান্ডার লুৎফুন্নাহার।এছাড়া সভায় বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বুয়েট, বিসিআইসি, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও বিভিন্ন ওষুধ শিল্প কারখানার সর্বমোট ৩৭ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।এসএ/আরএস/আরআইপি
Advertisement