বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রোডাক্টিভিটি (উৎপাদনশীলতা) আরও বাড়াতে হবে। বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের হিসাবে ব্যবসা ক্ষেত্রে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সূচকে ১৩৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সাত ধাপ এগিয়ে ৯৯তম অবস্থানে উঠে এসেছে। বাংলাদেশ সফলতার সঙ্গে এসডিজি অর্জন করেছে। এমডিজিও যথা সময়ে সফলভাবে অর্জন করতে সরকার পরিকল্পিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
Advertisement
সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘টেকসই উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীলতা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস-২০১৭ উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এ সেমিনারের আয়োজন করে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন)। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের পরিচালক এস এম আশরাফুজ্জামান।
সেমিনারে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সব ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার ও যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মাধ্যমে দেশব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
Advertisement
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি একসময় কৃষিনির্ভর ছিল। ১৯৭২-৭৩ সালে জিডিপিতে কৃষির অবদান ছিল প্রায় ৭৮ শতাংশ, এখন তা কমে হয়েছে ১৫ শতাংশ। আর শিল্পখাতের অবদান বেড়ে হয়েছে ৩২ শতাংশ। একসময় আমাদের জাতীয় বাজেট ৯০ শতাংশই বৈদেশিক সাহায্যনির্ভর ছিল। আজ নিজেদের অর্থেই বাজেট ঘোষণা করা হয়।
তিনি বলেন, প্রোডাক্টিভিটিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা ৭০ শতাংশ, এটা ৯০ শতাংশ হওয়া প্রয়োজন। এজন্য ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনকে (এনপিও) যথাযথ দায়িত্ব পালন করে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল মধ্য আয়ের দেশ গড়ে তুলতে সহযোগিতা করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার ও রফতানিকারকদের বিশেষ উদ্যোগে বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো এখন কমপ্লায়েন্স ফ্যাক্টরি হিসেবে গড়ে উঠছে। যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল প্রয়োজনীয় তথ্য অনুসন্ধানের পর সর্বোচ্চ পয়েন্টের ভিত্তিতে বিশ্বের ১০টি তৈরি পোশাক কারখানাকে অ্যানার্জি অ্যান্ড ইনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (এলইইডি) সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে। এবার তারা যে ১০টি তৈরি কারখানাকে এ সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে তার মধ্যে ৭টিই বাংলাদেশের।
তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ বাংলাদেশকে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা দিচ্ছে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য ও সেবা রফতানি করেছে, যা ২০২১ সালে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে।
Advertisement
এমইউএইচ/এমএমজেড/ওআর/এমএস