টুর্নামেন্টটা এশিয়া কাপ হকি। এশিয়ার সেরা ৮ দেশ খেলবে এ টুর্নামেন্টে। এমন একটি মর্যাদার টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির অগ্রগতি জানাতে সোমবার মাঠে চেয়ার পেতে সংবাদ সম্মেলনে বসে গেলেন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। আসলে কাজটি তারা করেছেন অপারগ হয়েই। ফেডারেশনের কোনো কক্ষের সামনেই যে পা রাখার জো নেই! সবখানে সংস্কারের ছোঁয়া। ধুলাবালি আর শব্দদূষণ থেকে একটু দূরে গিয়ে খোলা আকাশেই সংবাদ সম্মেলন সেরে ফেললেন কর্মকর্তারা।
Advertisement
মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে এখন সংস্কারের ধুমধাম। ইতোমধ্যে টার্ফের চারপাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে গেছে ফ্লাডলাইট। পরীক্ষামূলক আলোও ছড়িয়েছে কয়েকদিন। তবে সোমবার সন্ধ্যাটা বাংলাদেশ হকির জন্য ছিল অনেক অপেক্ষা অবসানের। সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে ফ্লাডলাইটের। প্রথমবারের মতো ফ্লাডলাইটের পরিপূর্ণ আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়াম।
টুর্নামেন্ট শুরুর বাকি আর মাত্র ৯ দিন। দীর্ঘ ৩২ বছর পর ঢাকায় এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে ফেডারেশনের সবচেয়ে বড় কাজটি ছিল ফ্লাডলাইট বসানো। সেটা শতভাগ সম্পন্ন। দু-তিনদিনের মধ্যে বসে যাবে স্কোর বোর্ড। পুরোদমে চলছে প্রেসবক্সসহ অন্যান্য সংস্কার কাজ। মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে পা রাখলে বোঝা যায়, বিশাল এক যজ্ঞই চলছে এখানে।
তবে এশিয়া কাপ নিয়ে আলোচনা ছড়িয়ে পড়েনি এখনও। কারণ এখনও সেভাবে প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে পারেনি ফেডারেশন। সোমবার ব্রিফিংয়ে ফেডারেশনের অন্যতম সহ-সভাপতি আবদুর রশিদ শিকদার স্বীকার করেছেন তারা সেভাবে প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে পারেনি। এখনও রাজধানীর কোথাও শোভা পায়নি টুর্নামেন্টের কোনো ব্যানার-ফেস্টুন কিংবা পোস্টার। প্রয়োজনীয় প্রচার শুরু করতে না পারায় ফেডারেশনের এ সহ-সভাপতি নিজেই হতাশ।
Advertisement
টুর্নামেন্ট কমিটির সম্পাদক জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি শেষ দিকে। আর তিন-চারদিনের মধ্যেই সব কিছু একটা ভালো পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। দলগুলো কে কবে আসবে, কোন দল কোন হোটেল অবস্থান করবে সবই ঠিকঠাক। এখন শুধু আমাদের প্রস্তুতিতে ফিনিশিং টাচ দেয়ার অপেক্ষা। যে কাজগুলো আছে তা শেষ হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।’
আরআই/আইএইচএস/এমএস