নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি ও চাহিদার আলোকে নতুন নতুন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়েই আগামীকাল বৃহস্পতিবার খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৪২১ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে।২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেট ছিল ৪৮৫ কোটি টাকা। তা সংশোধিত আকারে দাঁড়িয়েছিল ২৭৬ কোটি টাকা। তবে নতুন ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে বাজেটের আকার কমছে। তবে কেসিসি কর্তৃপক্ষ বলছে, এবারের বাজেট উন্নয়নমুখী ও সুষম। তাছাড়া বাজেটে মেয়রের নির্বাচনী ইশতেহারকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বাজেট সংক্রান্ত বিশেষ সভা গত সোমবার দুপুরে নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় কেসিসি’র প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন মিলেছে। ২০১৫-১৬ অর্থ-বছরের জন্য কেসিসি’র বাজেট ধরা হয়েছে ৪২১ কোটি টাকা।আয়ের খাত : বাজেটের রাজস্ব খাত থেকে আয় ধরা হয়েছে ১২৫ কোটি টাকা। বাকি ২৯৬ কোটি টাকার মধ্যে সরকারি অনুদান ৭৬ কোটি ও বিশেষ প্রকল্প বা দাতা সংস্থাদের অনুদান নির্ভর আয় ধরা হয়েছে ২২০ কোটি টাকা।ব্যয়ের সাধারণ খাত : সমাপনী স্থিতিসহ উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৫ কোটি। এর মধ্যে সংস্থাপন ব্যয় ৭৫ কোটি টাকা, নিজস্ব ফান্ড থেকে উন্নয়ন ব্যয় ৪৬ কোটি ও সমাপনী স্থিতি থেকে ৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।উন্নয়নমূলক কাজ : নগরীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ যেমন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রকল্পে সরকারি অনুদান, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)’র বিশেষ থোক বরাদ্দ এবং জাতীয় এডিপিভুক্ত প্রস্তাবিত প্রকল্পে সরকারি অনুদান হিসেবে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৬ কোটি টাকা।বিশেষ প্রকল্প : নগর অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দরিদ্রতা হ্রাসকরণ প্রকল্প, বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড প্রকল্প, আরবান পাবলিক অ্যান্ড এনভারমেন্টাল হেলথ সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প, নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প এবং নিরাপদ পথ খাবার ও কাঁচা বাজার উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২২০ কোটি টাকা।খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বাজেট কাম একাউন্টস অফিসার কে এস মুশতাক আহম্মদ বলেন, সরকারি নির্দেশনায় ব্যাণিজিক ক্ষেত্রে লাইসেন্স ফি বাড়ানো ছাড়া এবাবের বাজেটে নতুন কোন কর আরোপ হচ্ছে না। বাজেট হবে সুষম ও উন্নয়নমুখী। এর সুদূর প্রসারী তাৎপর্য রয়েছে। মেয়রের নির্বাচনী ইশতেহারকে গুরুত্ব, নাগরিক সেবা বৃদ্ধি ও সেবার মান উন্নত করার পরিকল্পনা নিয়েই এ বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে।আলমগীর হান্নান/এসএস/আরআই
Advertisement