‘নৌপথে কোনো ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচলের তথ্য পাওয়া মাত্রই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়’ বলে সংসদকে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। দশম জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে সোমবার এ কে এম শাহজাহান কামালের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, ‘নৌপথে ফিটনেসবিহীন কোনো লঞ্চ চলাচল করে না। ফিটনেসবিহীন কোনো লঞ্চ চলাচল করতে দেওয়া হয় না। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ১০ হাজার ১৪৩টি রেজিস্ট্রেশন করা নৌযান রয়েছে। এর বাইরে লঞ্চ মালিকগণ কর্তৃপক্ষের অগোচরে ফিটনেসবীহন লঞ্চ পরিচালনা করে থাকেন। তবে এ ধরনের ফিটনেসবিহীন লঞ্চের তথ্য পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’মন্ত্রী বলেন, ফিটনেসবিহীন লঞ্চে যাত্রী পরিবহন রোধে নানাবিধ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য বিআইডব্লিউটিএ ও সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিম ঢাকা নদী বন্দরের টার্মিনালে অধিক যাত্রীবহন রোধে এবং লঞ্চে জীবন রক্ষাকারী সরাঞ্জামাদিসহ সার্ভে অনুযায়ী মাস্টার ও ড্রাইভার যথাযথ আছে কি না তা নিশ্চিত করে।তিনি বলেন, ‘ঈদের পূর্বে ও পরে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ঈদ প্যাসেঞ্জার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান নামে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ জন্য প্রতিটি বন্দরে ঈদের পূর্বে ও পরে কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।’সংসদে মন্ত্রী আবারও দাবি করেন, পিনাক-৬ উদ্ধারের ব্যর্থতা মন্ত্রণালয়ের নয় বরং বিপদসঙ্কুল প্রতিকূল আবহাওয়াজনিত কারণেই লঞ্চটি উদ্ধার করা যায়নি। কক্সবাজার-১ এর সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াছের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
Advertisement